(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Laxmir Bhandar : শুরু হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম বিলি, কয়েক হাজার মহিলার লাইন পড়ল জেলায় জেলায়
এই প্রকল্পে জেনারেল ক্যাটেগরি পরিবারের কর্ত্রীকে মাসিক ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারের কর্ত্রীকে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে
কলকাতা : আজ থেকে দুয়ারে সরকার প্রকল্পে মিলবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম। বিধানসভা ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রেখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যে চালু হচ্ছে এই প্রকল্প। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনের পাশাপাশি, দুয়ারে সরকার প্রকল্পেও এজন্য আবেদন করা যাবে। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে জেনারেল ক্যাটেগরি পরিবারের কর্ত্রীকে মাসিক ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারের কর্ত্রীকে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ, যোগ্য জেনারেল কাস্ট পরিবার বছরে ৬ হাজার টাকা ও SC, ST এবং OBC পরিবার বছরে ১২ হাজার টাকা করে পাবে। এর ফলে উপকৃত হবেন ১ কোটি ৬০ লক্ষ মহিলা।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম বিলিকে কেন্দ্র করে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর শ্রীরামপুরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। স্থানীয় স্কুলের ক্যাম্পে রাত থেকেই লম্বা লাইন পড়ে যায়। কয়েক হাজার মহিলা ভিড় করেছেন লাইনে। সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। অবস্থা সামাল দিতে মাইকে চলে প্রচার। ভিড়ের কারণে উধাও দূরত্ব বিধি, অনেকেরই নেই মাস্ক। খবর পেয়ে ক্যাম্পে যান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। পুলিশকে মাস্ক বিলির পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি লাইনে দাঁড়ানো মহিলাদের তাড়াহুড়ো না করার অনুরোধ জানান মন্ত্রী। যদিও এরপরও বিশৃঙ্খলা অব্যাহত।
অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নাম নথিভুক্ত করতে ক্যানিংয়ের দিঘিরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়বাঘিনী হাইস্কুলে কয়েকহাজার মানুষের ভিড় জমে যায়। লম্বা লাইনে মানা হয়নি কোনও দূরত্ব বিধি। বেশিরভাগই মাস্ক পরেননি।প্রশাসনের তরফে মাস্ক বিলি করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ক্যানিং পশ্চিমে বিধায়ক পরেশরাম দাসের তরফে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু হওয়ার আগেই ফর্ম পূরণেও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে জলপাইগুড়িতে। রাজগঞ্জ ব্লকের ভাণ্ডারিগঞ্জ গ্রামে তৃণমূল নেতার আত্মীয়ার টাকা নেওয়ার ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতার আত্মীয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম ইন্টারনেটে ডাউনলোড করে বিক্রি করেন। ফর্ম পূরণের জন্যও টাকা চাওয়া হয়। প্রকল্প চালুর পর টাকা পেলে দক্ষিণা দিতে হবে বলেও আবেদনকারী মহিলাদের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর এবিপি আনন্দের খবরের জেরে, আমবাড়ি-ফালাকাটা থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার আত্মীয়া শিখা দে সরকার সহ চার জনকে।