কী অবস্থায় রাজ্যের স্কুলগুলি? রিপোর্ট তলব করে জানতে চাইল হাইকোর্ট
আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ের থেকে বেশি সময় চাওয়ায় রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
কলকাতা: রাজ্যের স্কুলগুলির কী অবস্থা? স্কুলগুলিতে পড়ুয়া পিছু কত শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন? রিপোর্ট তলব করে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ের থেকে বেশি সময় চাওয়ায় রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
তথ্য ছাড়াই কি স্কুল চালাচ্ছে রাজ্য? তথ্য না থাকলে সেটা বিস্ময়কর!সরকারি স্কুলগুলিতে, শিক্ষকের অভাব নিয়ে, জনস্বার্থ মামলায়, এভাবেই রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করল কলকাতা হাইকোর্ট।
সম্প্রতি, বাঁকুড়ার ওন্দার ২টি স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষকার সংখ্যা কম বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ওন্দার ৩টি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের মধ্যে, একটিতে প্রয়োজনের থেকে বেশি সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। অথচ একই এলাকারই, বাকি দুটি স্কুলে শিক্ষক সংখ্যা অপ্রতুল। অভিযোগ, শিক্ষকের সংখ্যা পর্যাপ্ত না থাকায় বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখ্যা।
এ নিয়ে, হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সোমবার মামলার শুনানিতে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চ, জানতে চায়, রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির কী অবস্থা? স্কুলগুলিতে পড়ুয়া পিছু কত শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন?
এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে, রাজ্যকে এক সপ্তাহর মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। তারই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের তরফে বেশি সময় চাওয়া হয়। রাজ্যের তরফে বলা হয়, রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক।
তাতেই, পাল্টা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল বলেন, তথ্য ছাড়াই স্কুল চালাচ্ছে রাজ্য?এর জন্য একটা দিনই যথেষ্ট। যদি সেই তথ্য যদি না থাকে, তাহলে সেটা বিস্ময়কর।
মামলাকারীর আইনজীবী শুভ্রপ্রকাশ লাহিড়ি জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত, রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট দিন বেঁধে দেয়নি আদালত।
উল্লেখ্য, পুজোর ছুটির পরে পর্যায়ক্রমে স্কুল খোলার ভাবনার কথা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিন অন্তর স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেই জানানো হয়েছে। সম্প্রতি নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, করোনার জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে রাজ্যের স্কুল-কলেজ। যার জেরে ব্যাহত হচ্ছে পঠন-পাঠন। করোনা পরিস্থিতিতে বাতিল হয়ে যায় মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। সম্প্রতি মাধ্য়মিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফল ঘোষণা হয়েছে। তার পর থেকে নতুন করে কবে ফের স্কুল খুলবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
এ দিকে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে শীঘ্রই। এই আশঙ্কার মধ্যেই নবান্নে তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় রূপরেখা তৈরি করতে বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যের তৈরি গ্লোবাল টিম ইতিমধ্যেই ৬৫টি বৈঠক করে ফেলেছে। আজ ছিল ৬৬তম বৈঠক।