IND vs BAN: দুবাইয়ে সেনসেশনাল শামি, হৃদয়ের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ২২৮ রানেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস
Champions Trophy 2025: ভারতের বিরুদ্ধে তৌহিদ হৃদয় বাংলাদেশের হয়ে সর্বাধিক ১০০ রানের ইনিংস খেলে দলকে দু'শো রানের গণ্ডি পার করতে সাহায্য করেন।

দুবাই: এক সময় মহম্মদ শামি, অক্ষর পটেল, হর্ষিত রানাদের দাপটে বাংলাদেশ (IND vs BAN) শতরানের গণ্ডিও পার করতে পারবে কি না, সেই নিয়ে সংশয়ে ছিলেন অনেকেই। তবে তৌহিদ হৃদয় (Towhid Hridoy) প্রমাণ করে দিলেন কেন তাঁকে বাংলাদেশের নব প্রজন্মের সেরা প্রতিভাদের তালিকায় রাখা হয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (Champions Trophy 2025) চাপের মুখে দলের হয়ে এক চোখধাঁধানো ইনিংস খেললেন বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যাটার। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন জাকের আলি। মহম্মদ শামি (Mohammed Shami) পাঁচ উইকেট নিলেও বাংলাদেশ ২২৮ রান তুলে নিজেদের ইনিংস শেষ করল।
এই পাঁচ উইকেটের সুবাদে জাহির খানকে পিছনে ফেলে নয়া ইতিহাসও গড়ে ফেললেন মহম্মদ শামি। আইসিসি ইভেন্টে তিনিই ভারতের সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হয়ে গেলেন। আইসিসি টুর্নামেন্টে জাহির খানের ৫৯টি উইকেট ছিল। জভগাল শ্রীনাথ নিয়েছিলেন ৪৭টি উইকেট। সবাইকে পিছনে ফেলে শামির দখলে ৬০টি উইকেট হয়ে গেল।
ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ভারত অধিনায়ক রোহিত অবশ্য টসের পরই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনিও টস জিতলে প্রথমে ফিল্ডিংই করে নিতেন। রোহিতের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে ধাক্কা দেন মহম্মদ শামি। তুলে নেন সৌম্য সরকারকে। পরের ওভারেই নাজমুল হোসেন শান্তকে ফিরিয়ে দেন হর্ষিত রানা। দুই রানে দুই উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে বাংলাদেশ।
এরপর বাংলাদেশ পাল্টা লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিল। তবে তাদের ফের ধাক্কা দেয় ভারত। বাংলাদেশ ইনিংসের নবম ওভার। বল করছিলেন অক্ষর পটেল। তাঁর ওভারের পরপর ২ বলে ফিরে যান তানজ়িদ হাসান ও মুশফিকুর রহিম। পরের বলে জাকেরের ক্যাচ প্রথম স্লিপে ফেলে দেন রোহিত। তারপরই হতাশায় তাঁকে মাটি চাপড়াতে দেখা যায়। এই ক্যাচ না পড়লে হয়তো বাংলাদেশকে আরও আগেই আউট করে দেওয়া যেত। ৩৫ রানেই পাঁচ উইকেট পড়ে গিয়েছিল টাইগারদের।
তবে এই স্থান থেকেই জাকের ও তৌহিদ হৃদয়। দুইজনে মিলে ষষ্ঠ উইকেটে ১৫৪ রান যোগ করেন। দুরন্ত একাগ্রতার পরিচয় দিয়ে জাকের ১১৪ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন। শেষমেশ শামির বলেই আউট হয়ে ফেরেন জাকির। তবে হৃদয় নিজের লড়াই চালিয়ে যান। দু'শো রানের গণ্ডি পার করে বাংলাদেশ, সেঞ্চুরিও হাঁকান হৃদয়। রিশাদ ১৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তবে শেষমেশ ২২৮ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। শেষ উইকেট হিসাবে ১০০ রানে ফেরেন হৃদয়। শামির পাঁচ বাদে অক্ষর দুই এবং হর্ষিত রানা তিনটি উইকেট নেন। এবার দেখার টিম ইন্ডিয়া এই রান তাড়া করতে পারে কি না। তবে বাংলাদেশ যে হৃদয়দের দৌলতে লড়াইয়ের রসদ পেয়ে গিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে আগুন ঝরাচ্ছেন শামিরা, NCA-তে ফিট হওয়ার লড়াই চালাচ্ছেন বুমরা
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
