ISL: ইস্পাতনগরীতে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে জয়ের সরণীতে ফিরতে মরিয়া মহমেডান
Mohammedan vs Jamshedpur: মহমেডান যেখানে শেষ পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই হেরেছে এবং একটি ড্র রয়েছে তাদের, সেখানে জামশেদপুর এফসি শেষ তিন ম্যাচে হারলেও তার আগের দুই ম্যাচে জেতে।
কলকাতা: দুই দলের অবস্থা প্রায় একই। শুরুটা ভাল করেও এখন ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগতে হচ্ছে। তবে যেহেতু মহমেডান এসসি-র চেয়ে সাফল্যের হার বেশি জামশেদপুর এফসি-র, তাই লিগ টেবলে তারা কলকাতার দলের চেয়ে তিন ধাপ এগিয়ে। সোমবার দুই দলের কাছেই জয়ে ফেরার লড়াই। শেষ পর্যন্ত কারা জিতে মাঠ ছাড়বে, সেটাই দেখার।
মহমেডান যেখানে শেষ পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই হেরেছে এবং একটি ড্র রয়েছে তাদের, সেখানে জামশেদপুর এফসি শেষ তিন ম্যাচে হারলেও তার আগের দুই ম্যাচে জেতে। ফলে কোনও পক্ষেরই সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুব একটা ভাল না। এই দুই দলের মধ্যে খেলা জমে ওঠারই কথা। কিন্তু দুই দলের তেমন ধারাবাহিকতা না থাকায় দুই দলই ভাল খেলতে পারবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।
মহমেডানের শুরুর দিকের লড়াই ও গত ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে উজ্জীবিত পারফরম্যান্সের কথা কারও মনে থাকলে সোমবারের ম্যাচে নিশ্চয়ই সাদা-কালো বাহিনীকে সহজে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। গত বুধবার ঘরের মাঠ কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সারা ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসি-র ওপর তারা দাপট বজায় রাখলেও সুনীল ছেত্রী পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে ছবিটা পাল্টে দেন। তিনিই জোড়া গোল করে বেঙ্গালুরু এফসি-কে ২-১ জয় এনে দেন। ম্যাচের ৮২ মিনিট পর্যন্ত সিজার মানজোকির গোলে এগিয়ে থাকার পরেও ম্যাচের শেষে হারের হতাশা নিয়ে ঘরের মাঠ ছাড়তে হয় মহমেডান এসসি-কে।
এ বারেই প্রথম আইএসএলে খেলা মহমেডান এসসি শুরুটা বেশ আশা জাগিয়ে করেছিল। একটি ম্যাচে জয় ও একটিতে ড্র তাদের তিন ম্যাচেই চার পয়েন্ট এনে দেয়। চেন্নাইয়ে গিয়ে সেখানকার দলকে হারিয়ে আসে আন্দ্রে চেরনিশভের দল। কিন্তু আজ পর্যন্ত ঘরের মাঠে একটিও ম্যাচ জিততে পারেনি তারা। মাঝের চার ম্যাচে যে হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখিয়েছে তারা, তা ঠিক তাদের আসল চেহারা নয়। প্রথম তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট পাওয়ার পর তিন ম্যাচে যে ভাবে ন’গোল খায় সাদা-কালো ব্রিগেড, তা যেমন প্রত্যাশিত ছিল না, তেমনই যে ভাবে ন’জনে খেলা ইস্টবেঙ্গলকে হারানোর সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় তারা, তাও ছিল অভাবনীয়। দুর্বল ইস্টবেঙ্গলকে সামনে পেয়েও তাদের রক্ষণে ফাটল ধরাতে পারেনি সাদা-কালো বাহিনী। সারা ম্যাচে ১৬টি গোলের সুযোগ তৈরি করে, ফাইনাল থার্ডে ২১০টি পাস খেলেও ম্যাচ গোলশূন্য রেখে মাঠ ছাড়ে মহমেডান। গোল করার দক্ষতার অভাব তাদের সেই ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা থেকে অনেকটা দূরে সরিয়ে রাখে। প্রতিপক্ষের গোলের সামনে ফিনিশ করতে না পারার রোগ তাদের সেই ম্যাচেও ভোগায়, যেমন ভোগায় গত ম্যাচেও। এই সমস্যা দূর করতে না পারলে সোমবারও জয়ে ফেরা কঠিন হবে মহমেডানের। তথ্য সংগ্রহ: আইএসএল মিডিয়া