Tata Cars: ৮ লাখ থেকে শুরু দাম, টাটা নেক্সনের এই মডেলটিতে কী সুবিধে ?
Tata Nexon DCA: ৮ লাখ থেকে দাম শুরু, আর সর্বোচ্চ দাম ১৫ লাখ পর্যন্ত। ইন্টিরিয়র এবং এক্সটিরিয়র দুই ক্ষেত্রেই আগের থেকে অনেক বেশি শার্প লুক এসেছে। টাটা নেক্সনের ডিসিএ ভার্সন কেনার উপযোগী কিনা দেখে নিন।
Car News: টাটার নেক্সনের মডেলটি সাধারণভাবে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং আগের বছর সেই মডেলে আপডেটও দেখা গিয়েছিল। আর সেই আপডেট (Tata Nexon DCA) আসার পরে এই মডেলের সেলস চার্ট হু হু করে বেড়ে গিয়েছিল। এমনকী এই গাড়িতে টাটা মোটরস বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বদল এনেছিল। নতুন এই নেক্সনের মধ্যে ইন্টিরিয়র এবং এক্সটিরিয়র দুই ক্ষেত্রেই আগের থেকে অনেক বেশি শার্প লুক এসেছে এই গাড়িতে। তবে সবথেকে বড় বদল (Car Review) এসেছে ডিসিএ ডুয়াল ক্লাচ গিয়ারবক্সে সবথেকে বেশি বদল এসেছে। ৮ লাখ থেকে এর দাম শুরু, আর সর্বোচ্চ দাম ১৫ লাখ পর্যন্ত। তবে দেখে নেওয়া যাক টাটা নেক্সনের ডিসিএ ভার্সন কেনার উপযোগী কিনা।
পারফরম্যান্স
১২০ বিএইচপির টার্বো পেট্রোল (Tata Nexon DCA) মডেলে কিছু বদল এসেছে ঠিকই তবে নতুন সংযোজন হল ডিসিএ ডুয়াল ক্লাচ ৭ স্পিডের অটোমেটিক ভার্সন। এটি একটি ওয়েট ক্লাচ এবং এর ডিউরেবিলিটিও অনেকটাই বেশি। আগের থেকে এর ড্রাইভিং এক্সপিরিয়েন্স বেশ ভাল হয়েছে একথা বলতেই হবে। এখন অনেক কম মাত্রায় ভাইব্রেশন হয়। ইঞ্জিনের সঙ্গে গিয়ারবক্স একত্রিত আছে। এএমটি ফেসিলিটি এখানেও আছে। ইঞ্জিনের পাওওয়ার ডেলিভারি বেশ ভাল এই গাড়িতে। বিভিন্ন রকমের ড্রাইভ মোড আছে এই গাড়িতে। সিটি মোডটা বেশি স্বচ্ছন্দ মনে হল। স্টপ গো ট্রাফিক এবং সিটি মোডে গাড়ি চালাতে বেশি আরাম বোধ হয়। এটি আদপে একটি ক্যাপেবল ক্রুজার যা কিনা কম্প্যাক্ট এসইউভির ক্যাটাগরিতে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। স্পোর্টিয়ার ড্রাইভিং স্টাইলে এই গাড়িতে মাইলেজ দিয়েছে ১১-১২ কিমি প্রতি লিটারে।
ফিচার্স এবং ইন্টিরিয়রস
টাটা নেক্সনের ইন্টিরিয়র আগের থেকে এখন অনেক বেশি প্রিমিয়াম লুক সম্পন্ন। আগে যে বোল্ড পার্পল ইন্টিরিয়র কালারা ছিল তাঁর থেকে এই নতুন রঙ অনেক বেশি চমকপ্রদ। সফট টাচ বিটের সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির ইন্টিরিয়রের কোয়ালিটিও অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে। নতুন ডিজিটাল ইন্টারফেস, ফক্স কার্বন লুক ইত্যাদি এসেছে নতুন সংযোজন হিসেবে। টাচ প্যানেলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাগনেট থাকছে এই মডেলে। থাকছে ডিজিটাল স্টিয়ারিংও। ১০.২৫ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন, ৩৬০ ডিগ্রির ক্যামেরা ডিসপ্লে এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। অন্যান্য ফিচার্সের মধ্যে রয়েছে জেবিএল অডিয়ো সিস্টেম, তাঁর সঙ্গে নানারকম মোড এক্সপ্রেস কুল ফাংশন রয়েছে এতে যা এর কেবিনকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। ডিজিটাল ড্রাইভার ডিসপ্লে ম্যাপের সঙ্গে লিঙ্ক করা আছে। আর এর মাধ্যমেই এই গাড়ির মডেল বেশ অনেকটা প্রিমিয়াম ফিচার্স সম্পন্ন হয়ে উঠেছে। তবে আমার পছন্দের এর পাওয়ারড ড্রাইভার সিট, ভেন্টিলেটেড সিট বাটন, স্টোরেজ সেন্টারে রয়েছে। ওয়্যারলেস চার্জিং প্যাডে বড় সাইজের ফোন কিন্তু এখানে রাখা যাবে না। আর এতে গাড়ির কেবিন অনেক সমৃদ্ধ, অনেক বেশি ডিসেন্ট মনে হয়।
কী মতামত
এই টপ এন্ড নেক্সন ডিসিএর দাম রয়েছে ১৫ লাখ টাকা, প্রিমিয়াম লুকের এই টাটা নেক্সন আপনি কিনতেই পারেন। দাম এক্ষেত্রে খুব একটা চিন্তার বিষয় নয় কারণ দাম অনুপাতে গাড়ির পাওয়ার ও ফিচার্স বেশ ভাল।
আরও পড়ুন: Multibagger Stock: ১ বছরে ১৫৯ শতাংশ রিটার্ন ! ৫২ সপ্তাহের উচ্চতায় এই শেয়ার, এবার কি কেনার সুযোগ ?