Buddhadeb Bhattacharjee: কৃষি এবং শিল্প ইস্যু : ২০০৬-এর জয়ের পর এবিপি আনন্দকে কী বলেছিলেন বুদ্ধবাবু
Buddhadeb Bhattacharya: ২০০৬ সালের ঐতিহাসিক জয়, ২৩৫ আসনে জয় পেয়েছিল বামেরা, বিপুল ভোটে বিশাল জয়ের পর এবিপি আনন্দকে কী বলেছিলেন বুদ্ধবাবু?
Buddhadeb Bhattacharjee: সিঙ্গুরে (Singur) শিল্পের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। ২০০৬ সালে জয়ের পর এবিপি আনন্দর (ABP Ananda) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে (Suman De)- কে তখন কী জানিয়েছিলেন তিনি? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সেই সময় টাটা গোষ্ঠীর তরফে রতন টাটা চিঠি পাঠিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। এই চিঠি প্রসঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন 'এটা একটা ভাল উপহার পশ্চিমবঙ্গে একটা অটোমোবাইল কারখানা গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওদের প্রতিনিধিরা এসে জায়গা নির্বাচন করে যাবেন। স্মলেস্ট কার যেটা আছে তার কারখানা তৈরি হবে।'
এক লক্ষ টাকার টাটা ন্যানো গাড়ি, লঞ্চের আগে-পরে বিপুল সাড়া জাগিয়েছিল, সেই প্রসঙ্গে কী বলেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
এক লক্ষ টাকায় একটা চারচাকা গাড়ি, বিশ্বাস করতে পারেননি অনেকেই। আমআদমির মতো টাটা গোষ্ঠীর এই প্রকল্প বিস্ময় জাগিয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর মনেও। এবিপি আনন্দর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে- কে তিনি বলেছিলেন, 'আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না।' তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল আপনি কিনবেন? হেসে উঠে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'না না আমার গাড়ি কেনার ব্যাপার নেই'।
২০০৬ সালের ঐতিহাসিক জয়, ২৩৫ আসনে জয় পেয়েছিল বামেরা, বিপুল ভোটে বিশাল জয়ের পর কী বলেছিলেন বুদ্ধবাবু
উন্নয়নয় ছিল মূল স্লোগান, কী বলবেন এই জয় নিয়ে, এই প্রশ্ন করেছিলেন এবিপি আনন্দর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে। জবাবে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'মানুষ তো উন্নয়নই চান। রাজ্যের মানুষ শিল্পে, কৃষিতে সবকিছুতে উন্নয়ন চান। একটা আবহাওয়া তৈরি হয়েছে যে সরকার উন্নয়ন করার চেষ্টা করছে। এই আস্থাটা অর্জন করা আমাদের দরকার ছিল। কিন্তু কাজটা খুব কঠিন। সেই কাজ করতে হবে। অনেকে বলেন, আপনি খুশি। আমি বলি না। আরও অনেক কাজ করতে হবে, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। আরও কাজ করতে হবে। বিনিয়োগ চাই আরও। আরও উন্নয়ন চাই।' ২০০৬ - এর বিপুল মার্জিনে জয় যে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিল সেই কথাও বলেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'মানুষের মধ্যে এই যে প্রত্যাশা তার মর্যাদা আমাদের দিতে হবে। মানুষ উন্নয়ন চান। কিছু হওয়া দরকার এটা চান।'
কৃষি জমি আর শিল্পের অহেতুক দ্বন্দ্ব নয়, ২০০৬ সালে বামেদের বিপুল জয়ের মধ্যে দিয়ে কি বুদ্ধবাবুর শিল্পনীতির পক্ষেই মতামত দিয়েছিল জনসাধারণ
এই প্রসঙ্গে বুদ্ধবাবু বলেন, 'বিষয়টা অত সহজ নয়। অন্য অনেক ধরনের মত আছে। সেগুলোও শুনতে হবে, গুরুত্ব দিতে হবে। তবে এটা বোঝা গিয়েছে যে মানুষ শিল্প চান। কৃষি থেকে শিল্পের অগ্রগতি তো সভ্যতার অগ্রগতির ইঙ্গিত। কিন্তু কৃষির সাফল্যকে ক্ষতি করে নয়। তাই সামঞ্জস্য বজায় রাখতে হবে।'