South 24 Parganas:উদ্বোধনের আগেই কংক্রিট ব্রিজের অ্যাপ্রোচ রোডে বড়সড় ধস নামখানা ব্লকে, বন্ধ সাধারণ মানুষের চলাচল
Namkhana Block: উদ্বোধনের আগেই কংক্রিট ব্রিজের অ্যাপ্রোচ রোডে বড়সড় ধসের ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকে। দু'বার ধসের জেরে বন্ধ করে দেওয়া হল সাধারণ মানুষের চলাচল।
গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: উদ্বোধনের আগেই কংক্রিট ব্রিজের (Bridge Disaster) অ্যাপ্রোচ রোডে বড়সড় ধসের ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নামখানা ব্লকে (Namkhana Block)। দু'বার ধসের জেরে বন্ধ করে দেওয়া হল সাধারণ মানুষের চলাচল।
কী ঘটেছিল?
প্রশাসনের দাবি, সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের তত্ত্বাবধানে ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের চন্দ্রনগর থেকে চন্দনপিঁড়ি সংযোগকারী পচামুড়ি খালের ওপর ব্রিজ ও অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি হচ্ছিল। সেই নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই বড়সড় ধস নামায় রাস্তা বন্ধ করে দিতে হল। এই ঘটনায় শাসক দলের বিরুদ্ধে কাটমানি ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, এই ধসের জন্য নির্মাণে ত্রুটির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে এর দায় তিনি চাপান নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে। এছাড়া জমিজটের কারণও উল্লেখ করেন মন্ত্রী। ধসের জেরে এলাকার মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। ব্রিজ চালু না হওয়ায় অতিরিক্ত ৭ কিলোমিটার পথ ঘুরে নামখানা বাজারে যেতে হচ্ছে তাঁদের।
নদিয়াতেও চেনা ছবি...
কয়েকদিন আগে ফাটলের ছবি ধরা পড়েছিল নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন স্থানীয়রা। তাঁদের ক্ষোভ, অত্যন্ত নিম্নমানের কাজের জেরেই এই পরিণতি হয়েছে। অবিলম্বে মেরামতি না হলে পুরো রাস্তাটিই ভেঙে যাবে, আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা। সেই মুহূর্তে দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকাটি ঘিরে দেয় প্রশাসন। কিন্তু বড় ধরনের যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র ভোগান্তিতে স্থানীয়রা। জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বাজিতপুর সড়কে চূর্ণী নদীর উপরে একটি ব্রিজ উদ্বোধন করেছিলেন। স্থানীয়দের বক্তব্য, পূর্ত সড়ক দফতরের উদ্যোগে তৈরি ওই রাস্তা দিন পনেরো আগে একটু বসে গেলে গোটাটাই নতুন করে তৈরি করা হয়। কিন্তু গত শুক্রবার রাতে সামান্য বৃষ্টির পরই রাস্তাটির একেবারে মাঝখানে ফাটল দেখা দিয়েছিল, জানাচ্ছেন তাঁরা। তখনই সেই ফাটল লক্ষ্য করেন গ্রামবাসীরা। খবর যায় কৃষ্ণগঞ্জ থানায়। আইসি ঘটনাস্থলে আসেন। কোনও দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই জন্য ফাটলের চারিদিকে গার্ডরেল দিয়ে দেন। তার পর দিন, অর্থাৎ শনিবার সকালে দেখা যায়, রাস্তার অর্ধেকের বেশি অংশ ভেঙে বসে গিয়েছে। ফলে বড় ধরনের যানবাহন চলাচল আপাতত বন্ধ। স্থানীয়দের ক্ষোভ, রাস্তা তৈরির সময় অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হয়েছে। তাতেই এই দশা। অবিলম্বে ঠিকঠাক মেরামতি না হলে পুরো রাস্তাটিই ভেঙে যাবে। সে ক্ষেত্রে সমস্ত যানবাহন, এমনকি মানুষের চলাচল বন্ধও হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন:লোগো প্রকাশ থেকে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে কৌশল আলোচনা, নজরে মুম্বইয়ের 'ইন্ডিয়া' বৈঠক