Malda : অন্যের নামে থাকা সিম ব্যবহার করে দুষ্কর্ম ! মালদায় ডিস্ট্রিবিউটরদের নিয়ে শিবির পুলিশের
বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ ওঠে, অন্য কারও নামে থাকা সিম ব্যবহার করে বড়সড় অসামাজিক করেছে দুষ্কৃতীরা।
অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা : অসামাজিক কাজকর্ম রুখতে শুক্রবার দুপুরে বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল সিম ডিস্ট্রিবিউটরকে নিয়ে একটি সচেতনতামূলক শিবির করল মালদা জেলা পুলিশ। মালদা টাউন হলে জেলার সমস্ত সিম ডিস্ট্রিবিউটরকে নিয়ে ওই শিবির করা হয়।
বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ ওঠে, অন্য কারও নামে থাকা সিম ব্যবহার করে বড়সড় অসামাজিক করেছে দুষ্কৃতীরা। এই সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়ে সাইবার ক্রাইম থানায়। এই ধরনের অপরাধ রুখতেই মোবাইল সিম ডিস্ট্রিবিউটরদের নিয়ে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের জানানো হয়েছে, তাঁরা যেন রিটেলারদের চিহ্নিত করেন। রিটেলাররা যেন কাস্টমারদের সমস্ত নথি পরীক্ষা করে তার পরই সিম বিক্রি করেন। ডিস্ট্রিবিউটররা যেন রিটেলারদের নিয়ে আলোচনা করেন, সিম কীভাবে বিক্রি করবেন তা নিয়ে। যদি কোনও ভুয়ো সিম কারও কাছ থেকে পাওয়া যায় তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকালের এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাউ কুমার অমিত, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার প্রশান্ত দেবনাথ, মালদা জেলা সাইবার ক্রাইম থানার ওসি অজয় সিংহ, ইংরেজবাজার থানার আইসি আশিস দাস সহ অন্যান্য পুলিশ অফিসাররা।
প্রসঙ্গত, হাজার হাজার ভুয়ো সিম কার্ডের ভিত্তিতে ই ওয়ালেট তৈরি করে দেশ জুড়ে প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস হয় গত মাসে। বাঁকুড়ায় এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ৬ জনকে। তাদের থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ৯ হাজার সিম ও ১০ হাজার ই ওয়ালেট।
সম্প্রতি বিশেষ সূত্রে বাঁকুড়ার পুলিশ জানতে পারে বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সাইবার প্রতারণার বড়সড় জাল। ঘটনার তদন্তে নেমে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয় তদন্তকারীদের। জানা যায়, কোতুলপুর এলাকার সিম কার্ড ব্যবসায়ী রামপ্রসাদ দিগরের কাছ থেকে একসঙ্গে হাজার হাজার প্রি আক্টিভেটেড সিম কার্ড কিনত বাঁকুড়ার ধবগ্রামের বাসিন্দা অভিষেক মণ্ডল। এই অভিষেক প্রতিটি সিমের জন্য কাস্টমার অ্যাপ্লিকেশন ফর্মে ভুয়ো নথি দাখিল করে তা আক্টিভেট করত। এরপর প্রতিটি সিম কার্ডের ভিত্তিতে একটি করে ই ওয়ালেট তৈরি করত। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, প্রতিটি সিমকার্ডের ভিত্তিতে তৈরি করা ই ওয়ালেট ও তার পাসওয়ার্ড মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া হত দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন প্রতারক গোষ্ঠীকে। এই প্রতারক দলের সঙ্গে অভিষেক যোগাযোগ রাখত টেলিগ্রামের মাধ্যমে। ই ওয়ালেট বিক্রি করার টাকা অভিষেক বিনিয়োগ করেছিল ক্রিপ্টো কারেন্সিতে। এজন্য একাধিক ক্রিপ্টো ওয়ালেটও তৈরি করা হয়েছিল বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা।