Mamata Banerjee : 'গঙ্গাসাগর থেকে শিখেছি', মহাকুম্ভে বিপর্যয়ে নাম না করে ব্যবস্থাপনার দিকে আঙুল মমতার
ধাক্কাধাক্কিতে ছেড়ে যায় হাত, ছিটকে পড়ে যান একের পর এক মানুষ। আর মানুষের স্রোত পিষে দিয়ে চলে যায় পা দিয়ে।

কলকাতা : তখন ঠিক মাঝরাত। আর একটু পরেই ভোর হবে। সেই শুভ মুহূর্ত। অমৃতস্নান করে জীবনের সেরা পুণ্যটুকু অর্জন করার বিশ্বাস নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন কোটি কোটি মানুষ। মহাকুম্ভের নানা ঘাটে পুণ্যার্থীরা ভিড় জমিয়েছিলেন। রাত ২টো নাগাদ সঙ্গমের দিকে এগোচ্ছিল ভিড়। তখনই হঠাৎ তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা । দিকবিদিকজ্ঞানশূন্য হয়ে ছুটতে শুরু করে মানুষ। ধাক্কাধাক্কিতে ছেড়ে যায় হাত, ছিটকে পড়ে যান একের পর এক মানুষ। আর মানুষের স্রোত পিষে দিয়ে চলে যায় পা দিয়ে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতির পিছনে কারা দায়ী, কাদের ভুল বা গা-ফিলতিতে এত বড় বিপর্যয়, খুঁজে দেখছে যোগী-প্রশাসন। সকালে যোগী আদিত্যনাথের বাড়িতে বৈঠকে বসেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব, DGP, ADG আইন শৃঙ্খলা, স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধান সচিব-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ভিড় সামলাতে কোথায় ত্রুটি, দোষী আধিকারিকদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।
এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের ঘটনায় শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগর প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেছেন, 'গঙ্গাসাগর মেলা থেকে আমি শিখেছি, কীভাবে বিশাল জনসমাবেশের ক্ষেত্রে তীর্থযাত্রীদের জীবন সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে পরিকল্পনা করা দরকার এবং সর্বাধিক যত্ন হওয়া উচিত।' মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, 'মহাকুম্ভে পদদলিত হওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। সেখানে কমপক্ষে ১৫ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। শোকাহত তীর্থযাত্রী পরিবারের সঙ্গে আছি'
যোগী সরকার বারবার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও, এই মুহূর্তে কুম্ভ মেলায় ভিড় সামলানো ও পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার দায়িত্ব সেনার নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন অখিলেশ যাদব । চাইলেন যোগীর পদত্যাগ ! 'অবিলম্বে কুম্ভমেলার দায়িত্ব সেনার হাতে তুলে দেওয়া উচিত। যাঁরা বিশ্বমানের ব্যবস্থা করেছেন, বলে দাবি করেছিলেন, তাঁদের দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত।' কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের ঘটনায় যোগী সরকারকে নিশানা করে পোস্ট করলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির প্রধান।
র্ঘটনার পরেই প্রয়াগরাজের সমস্ত হাসপাতালে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। প্রস্তুত রাখা হয়েছে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। পুলিশের সঙ্গে উদ্ধার কাজে নেমেছে র্যাফ, NDRF, NSG কমান্ডোরা। ভিড় সামাল দিতে বাতিল করা হয়েছে কুম্ভগামী স্পেশাল ট্রেন।
আরও পড়ুন :
মহাকুম্ভে পদপিষ্ট পুণ্যার্থীরা, অমৃত স্নান ঘিরে ধাক্কাধাক্কি, কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
