(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Mamata Banerjee: ‘কে, কত টাকা নিয়েছেন চাকরি হারানো ছেলেমেয়েরা যদি বলে দেন...’ শুভেন্দুগড়ে দাঁড়িয়ে বললেন মমতা
Mamata in Haldia: বৃহস্পতিবার হলদিয়ায় তৃণমূলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের হয়ে সভা করেন মমতা।
হলদিয়া: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এক ধাক্কায় হাজার হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। হলদিয়ায় দাঁড়িয়ে এবার সেই নিয়ে নাম না করে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে মেদিনীপুরের বহু ছেলেমেয়ে রয়েছে, তাঁরা যদি মুখ খোলেন, কে বা কারা কত টাকা নিয়েছিলেন, সব বেরিয়ে পড়বে বলে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। (Mamata Banerjee)
বৃহস্পতিবার হলদিয়ায় তৃণমূলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের হয়ে সভা করেন মমতা। সেখান থেকেই চাকরি বাতিল নিয়ে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "চাকরি বাতিল হওয়ার কয়েক দিন আগে একজন বাবু বলেছিলেন 'বোমা ফাটাব'। আমরা ভাবলাম কোথাও থেকে হয়ত বোমা-গুলি কিনে রেখেছেন! ওমা বলে কি না ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি বাতিল! আমি সেদিনই বলেছিলাম, ওদের সঙ্গে আছি, থাকব, আইনি সড়াই লড়ব, যা করতে হয় করব। মনে রাখবেন অন্যের ঘর ভাঙলে, নিজের ঘরও কিন্তু ভাঙে।" (Mamata in Haldia)
এর পরই মমতা বলেন, "এই ২৬ হাজার ছেলেমেয়ে মুখ খুলছে না...পাছে সত্যিটা বেরিয়ে পড়ে! কার কাছ থেকে কে, কত টাকা নিয়েছেন,তারা যদি একবার বলে দেয়, মেদিনীপুরের সংখ্যাটা কিন্তু সবচেয়ে বেশি! একদিন না একদিন বেরোবেই। আমাকে চুপচাপ বলে দেবেন। কারও চাকরি যাবে না, কারও ক্ষতি হবে না। আমি কারও ক্ষতি করি না কোনও দিন। মানুষখেকো বাঘ দেখেছেন, চাকরিখেকো বাঘ দেখেছেন? আপনাদের জেলায় আছে। সাবধান। বোমা ফাটাবে, চাকরি খাবে, বড় বড় কথা বলবে!"
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'চিরকাল কোলে বসিয়ে রাখবে না ED-CBI, বদলা নেবই', কাকে হুঁশিয়ারি মমতার?
হলদিয়ার সভায় যদিও সরাসরি কারও নাম মুখে আনেননি মমতা, তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেই তিনি নিশানা করেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ কলকাতা হাইকোর্ট প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার আগেই বোমা ফাটানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু। যেদিন বোমা ফাটাবেন বলেছিলেন, সেই দিনই ওই নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই নিয়েও আগেও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। হাইকোর্ট বিজেপি-র লেখা রায়ই শুনিয়েছে কি না, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্ট যদিও ২০১৬ সালের গোটা প্য়ানেলই বাতিল করে, সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আপাতত সকলের চাকরি বহাল রয়েছে। যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাই করা না গেলে, সকলের চাকরি বাতিল করা ন্যায্য হবে না বলে জানায় শীর্ষ আদালত। এই মুহূর্তে অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের খোঁজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI. আড়াই হাজার নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে খবর। ধাপে ধাপে তলব করা হচ্ছে সন্দেহভাজনদের।