Potato Price Hike : বড় ধর্মঘটের ডাক ! ছ্যাঁকা লাগবে আলুর দামে, কোথায় গিয়ে ঠেকবে?
Potato Price : উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, যাঁরা হিমঘর থেকে আলু বের করে বাজারে সরবরাহ করার কাজটি করেন, তাঁরাই কর্মবিরতিতে। তার জেরে রাজ্যের অধিকাংশ হিমঘর থেকে আলু বের করা হয়নি সোমবার।
সোমনাথ মিত্র, হুগলি : আলু ভর্তি গাড়ি ভিন রাজ্যে যেতে আটকে দেওয়ার অভিযোগে আজ, সোমবার থেকে রাজ্য জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিলেন আলু ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়িক সমিতির কর্মবিরতির ডাকের বিরাট প্রভাব পড়তে পারে আলুর দরে। এমনিতেই বাজারে সব সবজিরই আগুন-দাম। এক লাফে অনেকটাই মহার্ঘ্য হয়েছে আলু। এবার তা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি ডাকা ধর্মঘটের প্রভাবে বন্ধ থাকতে পারে আলু সরবরাহ। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, যাঁরা হিমঘর থেকে আলু বের করে বাজারে সরবরাহ করার কাজটি করেন, তাঁরাই কর্মবিরতিতে। তার জেরে রাজ্যের অধিকাংশ হিমঘর থেকে আলু বের করা হয়নি সোমবার। যদিও সিঙ্গুরের রতনপুরে বেশ কিছু আলু ব্যবসার প্রতিষ্ঠান সোমবার খুলেছে। তাদের ব্যবসায়িক কাজকর্ম চলছে। তবে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে কর্ম বিরতি চলতে থাকলে বাজারে যোগান কমবে আলুর। আর চড়চড়িয়ে চড়বে দাম।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায়ের দাবি, 'আমরা যে বাজারে আলু সরবরাহের কাজ করি সেটা সোমবার থেকে বন্ধ আছে কর্মবিরতির জন্য। সারা রাজ্য প্রায় ৮০ হাজার ব্যবসায়ী এই কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন। ভিন রাজ্যে আলু যেতে আমাদের গাড়ি পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছে। সেটা যাতে বন্ধ হয়, তার জন্যই ধর্মঘট। মুখ্যমন্ত্রী যাতে বিষয়টাতে হস্তক্ষেপ করে সে বিষয়ে আমরা আশাবাদী।'
সিঙ্গুর রতনপুর আলু ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক প্রহ্লাদ মণ্ডল জানিয়েছেন, 'প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি যে ইস্যুতে কর্মবিরতি ডেকেছে আমরা তাকে সমর্থন করি। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আমরা বাজার খোলা রেখেছি, না হলে আলুর দাম আগুন হয়ে যাবে। সরকারের উচিত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে সমস্যার সমাধান করা এবং যে ট্রাকগুলি আটকে আছে তাদের ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা।'
অন্যদিকে হাসনাবাদ থেকে আলু কিনতে আসা এক পাইকারি ক্রেতা মনসুর আলী সর্দার জানাচ্ছেন , 'ঘুরে দেখলাম। আলু অল্প পাচ্ছি। এই ভাবে চললে বাজারে যোগান হবে না। ফলে দাম বেড়ে যাবে।'
বাজারদরে যেন আগুন লেগেছে। রোজকার রান্নায় অপরিহার্য আলু-পেঁয়াজ থেকে সবজি কিংবা মাছ-মাংস, হাতে নিয়েও, দাম শুনে অনেক কিছুই আবার রেখে দিতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। বাজারের ব্য়াগ ভরতে হলে খালি হয়ে যাচ্ছে মানিব্য়াগ। অনেকে বলছেন, আয় যেখানে কচ্ছপের গতিতে বাড়ছে, সেখানে খরচ বাড়ছে খরগোশের গতিতে। এই পরিস্থিতিতে সংসারের বাজেট কতদিন, কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে? ভেবে পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।
আরও খবর :