(Source: Poll of Polls)
Madan Mitra: ‘বাংলার চাকর হতে রাজি, দিল্লির কুকুর হতে নই’, ধর্না কর্মসূচিতে গিয়ে মোদিকে দিল্লি ছাড়তে বললেন মদন
TMC Delhi Protests: রবিবার রণকৌশল বৈঠক থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মদন।
নয়াদিল্লি: বকেয়ার দাবিতে দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচি তৃণমূলের। বাংলার নেতা-নেত্রী এবং মানুষের ভিড়ে তার আগে কার্যতই কলকাতা হয়ে উঠল রাজধানী। এক এক করে সেখানে ভিড় করলেন তৃণমূলের (TMC) নেতা-কর্মী-সাংসদরা। ধর্না কর্মসূচির আগে রণকৌশল বৈঠক হল সেখানে, যাতে নেতৃত্ব দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই বৈঠক শেষে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপি (BJP) এবং নরেন্দ্র মোদি সরকারকে।
রবিবার রণকৌশল বৈঠক থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মদন। তিনি বলেন, "অভিষেক ঠিকই বলেছিল, বাংলার চাকর হতে রাজি আছি, দিল্লির কুকুর হতে নই। গায়ে হাত পড়লে ছেড়ে কথা বলব না, সর্বান্তকরণে সমর্থন করছি। কী করবে ওরা? কিছু করতে পারবে না। ওরা তো রাম-সীতার পুজো করে, হিন্দু ধর্মের কথা বলে। হিন্দু ধর্মে লেখা আছে, কপালে যা লেখা আছে, তাই হবে। বাকি সব নিমিত্ত মাত্র।"
সরাসরি নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহকেও বেঁধেন মদন। বলেন, "নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহও নিমিত্তমাত্র। তৃণমূল আসার পর দিল্লিতে এবার সেই খেলা শুরু হয়ে গেল।" তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচির ঘিরে প্রস্তুতির মধ্যেই দিল্লিতে ডাক পড়েছে বাংলার বিজেপি নেতৃত্বের। সে প্রসঙ্গে মদন বলেন, "তৃণমূলের দম আছে বলুন! রাজধানীতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলা থেকে ডেকে পাঠাতে হচ্ছে! যাই হোক, ভারতবাসীও দেখবেন। প্রথম রাউন্ডে হেরে গিয়েছে। আমরা কিন্তু দিল্লিতে দাঁড়িয়ে দিল্লির বিরোধিতা করছি। রাজধানীতে দাঁড়িয়ে বলছি, মোদি মুর্দাবাদ, এই মুহূর্তে দিল্লি ছাড়ো। কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও তোমাদের দিকে বন্দুক তাক করেছে। তাই বলি, আগে দিল্লি সামলা, পরে গড়বি বাংলা।"
তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সোমবার রাজঘাটে দুপুর দেড়টা নাগাদ ধর্না কর্মসূচি করবে তৃণমূল। মহাত্মা গাঁধীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে চলবে সত্যাগ্রহ। তার পর তাঁর বাড়িতে আবারও বৈঠক রয়েছে। সেখানে মঙ্গলবার যন্তরমন্তরে অবস্থান কর্মসূচি, ডেপুটেশন দেওয়া নিয়ে আলোচনা চলবে। দিল্লি পুলিশ যেহেতু অনুমতি দেয়নি, তাই কোন কৌশলে এগনো হবে, ঠিক হবে। পুলিশের আচরণ নেতিবাচক হলে, সেই মতো পদক্ষেপ গৃহীত হবে। এদিনের বৈঠকে আরও যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, তা হল, ১০০ দিনের কাজ করেও যাঁরা টাকা পাননি, তাঁদের যন্তরমন্তরে নিয়ে আসার পাশাপাশি ছাত্রযুবদের মাধ্যমে একাধিক সমস্যা তুলে ধরা হবে। নতুন সংসদভবন তৈরিতে ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করলেও ১০০ দিনের কাজ, আবাসের টাকা আটকে রাখা হয়েছে কেন, প্রশ্ন তোলা হবে সেখানে।