Sachin Dev Burman: যুগ পেরিয়েও তাঁর সৃষ্টি ঝড় তোলে সঙ্গীতপ্রেমীদের মনে, জন্মবার্ষিকীতে শচীন দেব বর্মনকে শ্রদ্ধার্ঘ
SD Burman Birth Anniversary: 'শোনো গো দখিনও হাওয়া', 'তুমি এসেছিলে পরশু' বা 'বর্ণে গন্ধে ছন্দে...', কয়েক যুগ আগে তৈরি এই সমস্ত গান এখনও শ্রোতাদের মুখে মুখে ফেরে। আট থেকে আশি, সকলেই বুঁদ তাঁর গানে।
কলকাতা: ১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর। অধুনা বাংলাদেশের (Now in Bangladesh) কুমিল্লায় (Comilla) জন্ম নেন শচীন দেব বর্মন (Sachin Dev Burman Birth Anniversary)। এমন এক সঙ্গীত পরিচালক যিনি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, বাংলা ও উত্তর-পূর্ব ভারতীয় লোকসঙ্গীতের মেলবন্ধনে বুঁদ করিয়েছিলেন আপামর দেশবাসীকে। তাঁর ১১৭তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা।
'শোনো গো দখিনও হাওয়া...'
'শোনো গো দখিনও হাওয়া', 'তুমি এসেছিলে পরশু' বা 'বর্ণে গন্ধে ছন্দে...', কয়েক যুগ আগে তৈরি এই সমস্ত গান এখনও শ্রোতাদের মুখে মুখে ফেরে। আট থেকে আশি, শচীন দেব বর্মনের নাম শোনেনি এমন হয় না, তা সে যে বয়সেরই হোক না কেন!
১ অক্টোবর, তাঁর ১১৭তম জন্মবার্ষিকী। তিনি একাধারে সঙ্গীত পরিচালক ও গায়কও ছিলেন। প্রায় ১০০টিরও বেশি ছবির গানের অ্যালবাম বাস্তব রূপ পেয়েছে তাঁরই সৃজনশীলতার জোরে।
ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সারির কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পীরা শচীন দেব বর্মনের পরিচালনায় কণ্ঠ দিয়েছেন। কে নেই সেই তালিকায়? লতা মঙ্গেশকর, মহম্মদ রফি, গীতা দত্ত, মান্না দে, আশা ভোঁসলে, মুকেশ বা তালাত মহমুদ, এক সে বড়কর এক তাবড় শিল্পীরা কাজ করেছেন শচীনকর্তার সঙ্গে।
ত্রিপুরার আগরতলায় 'কুমার বোর্ডিং স্কুল'-এ পড়াশোনা শুরু শচীন দেব বর্মনের। পরে শিল্পীর বাবা তাঁকে কুমিল্লার 'ইউসুফ স্কুল'-এ ভর্তি করান। এরপর পঞ্চম শ্রেণি থেকে পড়াশোনা 'কুমিল্লা জিলা স্কুল'-এ। ১৯২০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা পাশ করেন তিনি। এরপর কুমিল্লারই 'ভিক্টোরিয়া কলেজ'-এ ভর্তি হন। ১৯২২ সালে সেখান থেকেই আইএ পাশ করেন, এবং ১৯২৪ সালে বিএ। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাকোত্তর পড়ার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। কিন্তু মাস্টার্সের পড়াশোনা আর শেষ করেননি শচীন দেব।
সঙ্গীতশিল্পী কে সি দে-র তত্ত্বাবধানে সঙ্গীতের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেন শচীন দেব বর্মন। এরপর ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়, উস্তাদ বাদল খান ও উস্তাদ আলাউদ্দিন খানের অধীনে সঙ্গীতের তালিম নেন। ১৯৩৭ সালে বাংলা সিনেমার হাত ধরে নিজের কর্মজীবনের সূচনা করেন শচীন দেব বর্মন। ১৯৪০ সালে শশধর মুখোপাধ্যায়ের অনুরোধে মুম্বইয়ে থাকা শুরু করেন তিনি।
আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar Birthday: সুরের মূর্ছনায় বুঁদ আসমুদ্রহিমাচল, 'নাইটিঙ্গল'কে জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ
'মাটির ঘর', 'শিকারী', 'দিল কি রানি', 'মিস ইন্ডিয়া', 'তেরে ঘর কে সামনে', 'ক্যায়সে কহুঁ', 'জয়তী', 'প্রেম পূজারী' ইত্যাদি হচ্ছে তাঁর কর্মজীবনের কাল্ট অজস্র কাজের মধ্যে অন্যতন কিছু ছবির নাম। 'ফিল্মফেয়ার বেস্ট মিউজিক ডিরেক্টর অ্যাওয়ার্ড', 'সঙ্গীত নাটক অ্যাকডেমি অ্যাওয়ার্ড', 'এশিয়া ফিল্ম সোসাইটি অ্যাওয়ার্ড' ও 'পদ্মশ্রী'র মতো বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ সম্মানে ভূষিত হন তিনি। ১৯৭৫ সালের ৩১ অক্টোবর, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তী তারকা সঙ্গীতশিল্পী।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন