Hair Health: সারাবছর চুলে পুষ্টি জোগান দেয় কোন কোন উপকরণ? প্রতিদিন পাতে কোন কোন খাবার রাখবেন?
Hair Care: বাইরে থেকে চুলে প্রোডাক্ট লাগানোর পরিবর্তে যদি খাওয়া-দাওয়া স্বাস্থ্যকর করেন, অনিয়ম এড়িয়ে চলেন তাহলে চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
Hair Health: উৎসবের মরসুমে চুলে নানা ধরনের স্টাইল (Hair Styles) কমবেশি সকলেই করে থাকেন। দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে অনেকি চুল স্ট্রেটনিং বা স্মুদনিং করিয়েছেন। অনেকে আবার চুলে করিয়েছেন রঙ, হাইলাইট ও আরও অনেক কিছু। বিভিন্ন পোশাকের সঙ্গে মানানসই হেয়ার স্টাইলও তো প্রয়োজন। তাই পামিং, কার্ল আরও কত কিছুই না এই কয়েকদিন করা হবে চুলে। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্যে চুলের স্বাস্থ্যের (Hair Care) দিকেও নজর দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ বাতাসে ইতিমধ্যেই রুক্ষ, শুষ্ক ভাব এসেছে। এখন মরসুম পরিবর্তনের সময়। ভোরের হাওয়া জানান দিচ্ছে শীত আসতে খুব বেশি দেরি নেই। আর এই সময়ে অর্থাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রাক্কালে চুলের সঠিকভাবে পরিচর্যা (Hair Care Tips) প্রয়োজন। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক সারাবছর চুলে পুষ্টি জোগাতে কোন কোন উপাদানের উপর ভরসা করবেন আপনি। একটা কথা অবশ্যই মাথায় রাখুন, বাইরে থেকে চুলে প্রোডাক্ট লাগানোর পরিবর্তে যদি খাওয়া-দাওয়া স্বাস্থ্যকর করেন, অনিয়ম এড়িয়ে চলেন তাহলে চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
চুলে পুষ্টি উপকরণের জোগান দিতে বছরভর সাহায্য করে কারা
বায়োটিন- বায়োটিন হল ভিটামিন বি কমপ্লেক্স কম্পাউন্ড। এই উপকরণ আমাদের চুলে কেরাটিনের পরিমাণ সঠিকভাবে বজায় রাখতে বা ধরে রাখতে সাহায্য করে। কেরাটিনের সাহায্যে বজায় থাকে চুলের ইলাস্টিসিটি। মজবুত হয় চুলের গঠন। চুল পড়ার সমস্যা কমে। চুলে উজ্জ্বলভাব এবং আর্দ্রতা বজায় থাকে। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে এই বায়োটিন। মাছ, বিভিন্ন ধরনের বীজ, বাদাম, মিষ্টি আলু এইসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে বায়োটিন থাকে।
ভিটামিন ই- এই উপকরণ সার্বিকভাবে চুলের দেখভাল করতে সাহায্য করে। চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ভিটামিন ই একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপকরণ যা চুলে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ হতে দেয় না। শুধু তাই নয়, পুষ্টি জোগায় চুল এবং স্ক্যাল্পে। চুলের গঠন ভাল করার পাশাপাশি ভিটামিন ই চুল পড়ার সমস্যাও কমায়। আমন্ড, পালং শাক, অ্যাভোকাডো, সূর্যমুখী ফুলের বীজ এইসব খাবারে ভিটামিন ই ভরপুর থাকে।
জিঙ্ক- এই মিনারেলসও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। চুল পড়ার সমস্যা কমায় জিঙ্ক। এছাড়াও হেয়ার ফলিকলের মুখগুলি খুলে দেয়। তার ফলে নতুন চুল গজাতে পারে সহজে এবং দ্রুত। চুলের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সাহায্য করে জিঙ্ক। এছাড়াও চুলের মধ্যে থাকে বিভিন্ন প্রোটিন যেগুলি চুলে ধরে রাখতে সাহায্য করে এই মিনারেলস। ডিম, কুমড়োর বীজ, চিংড়ি, ব্রাজিল নাট, কাঁকড়া এইসব খাবারে থাকে জিঙ্ক।
ভিটামিন সি- আপনার শরীরে আয়রনের অ্যাবসরপশন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। এর ফলে বৃদ্ধি পায় কোলাজেনের উৎপাদন। হেয়ার ফলিকলগুলি সুদৃঢ় করতে এবং স্ক্যাপ্লের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। লেবুজাতীয় বিভিন্ন ফল যেমন- কমলালেবু, এছাড়াও আঙুর, কালে (শাক), বেল পেপার এইসব খাবারে থাকে ভিটামিন সি।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড- স্ক্যাল্প হাইড্রেটেড রাখতে অর্থাৎ মাথার তালুর রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর করতে এই উপকরণ সাহায্য করে। এছাড়াও ভাল রাখে চুলের টেক্সচার। অর্থাৎ চুল রুক্ষ, শুষ্ক থাকে না। সার্বিকভাবে চুলকে ক্ষয়ের হাত রক্ষা করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। বিভিন্ন ধরনের মাছ (স্যামন, সার্ডিন), অ্যাভোকাডো, আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড, সোয়াবিন এইসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।