(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
এবার ৫ বছর পর্যন্ত কর্মীদের বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠাতে পারবে এয়ার ইন্ডিয়া, প্রস্তাব পাশ, জারি নির্দেশিকা
সংশ্লিষ্ট কর্মীর দক্ষতা, উপযুক্ততা, যোগ্যতা, কর্মক্ষমতা, কর্মচারীর স্বাস্থ্য, অসুস্থতা বা অন্য কারণে অতীতে কাজে গরহাজিরার উদাহরণ বিচার্য হবে।
নয়াদিল্লি: এবার থেকে কর্মীদের পাঁচ বছর পর্যন্ত বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠাতে পারবে এয়ার ইন্ডিয়া। এই মর্মে সম্প্রতি একটি প্রস্তাব পাশ করে নির্দেশিকা জারি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা।
প্রবল আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা এয়ার ইন্ডিয়া কর্মী সংকোচনের জন্য সম্প্রতি এই প্রকল্প বেছে নিয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত এই বিমান সংস্থার জারি করা সাম্প্রতিক নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে কোনও কর্মী যদি চান, তাহলে ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত বিনা বেতনে ছুটিতে নিতে পারবেন।
তবে, একইসঙ্গে বিমান সংস্থা চাইলে বাধ্যতামূলকভাবে কোনও কর্মীকে বিনা বেতনে ৫ বছরের জন্য ছুটিতে পাঠাতে পারবে। সেক্ষত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মীর দক্ষতা, উপযুক্ততা, যোগ্যতা, কর্মক্ষমতা, কর্মচারীর স্বাস্থ্য, অসুস্থতা বা অন্য কারণে অতীতে কাজে গরহাজিরার উদাহরণ বিচার্য হবে।
সূত্রের খবর, সংস্থার সদর দফতরের কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে আঞ্চলিক প্রধানরা এই বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে কর্মীদের চিহ্নিত ও তাঁদের পর্যালোচনা করার কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি, কাদের বাধ্যতামূলক বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানো যায়, সেই দিকটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার এই মর্মে সরকারিভাবে নির্দেশিকা জারি করেছে বিমান সংস্থাটি। সেখানে বলা হয়েছে কর্মীদের চিহ্নিত করে নামগুলি জেনারেল ম্যানেজার(কর্মীবর্গ)-র কাছে পাঠাতে হবে। সেই অনুযায়ী, সংস্থার সিএমডি চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন।
গত সপ্তাহেই, শিক্ষানবিশ কেবিন ক্রু-দের ছাঁটাই করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। সংস্থার তরফে জানানো হয়, করোনা সঙ্কটের জেরে সমগ্র বিমান চলাচল ক্ষেত্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। যার জেরে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে। শুধু এয়ার ইন্ডিয়া নয়, বিশ্বের একাধিক বিমান সংস্থা বিপুল হারে কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া চালিয়েছে।
মাত্র কয়েকদিন আগেই আমেরিকার ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স ৯৫ হাজার কর্মীসংখ্যা থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। একইভাবে, গতমাসে একাধিক পাইলট থেকে কেবিন ক্রু-কে ছাঁটাই করেছে দুবাইয়ের এমিরেটস বিমান সংস্থা। সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, করোনাকালে প্রায় ৪৩০০ পাইলট ও প্রায় ২২ হাজার কেবিন ক্রু চাকরি হারাতে পারেন।