Chandrayaan 3: 'চাঁদের দেশে পা রেখেছে ভারত,' উচ্ছ্বসিত ইসরোর চেয়ারম্যান
Scientist Reactions:
নয়াদিল্লি: মহাকাশ বিজ্ঞানে নতুন ইতিহাস, চাঁদের দেশে ভারত। চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের সফল অবতরণ। চাঁদের দক্ষিণ মেরু সন্নিহিত অগম্য স্থানে ভারত। নির্দিষ্ট সময়েই চাঁদের বুকে নামল ল্যান্ডার 'বিক্রম'।
বিক্রমের সফল অবতরণ: চাঁদের ঘরে প্রবেশ করেছে চন্দ্রযান। বিশ্বের মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিপ্লব ঘটিয়েছে ইসরো। রাশিয়া ব্যর্থ হওয়ার পরই ভারতের সামনে খুলে গিয়েছিল বড় সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সফল হল ইসরো। মুছে গেল চন্দ্রযান-২-এর ব্যর্থতা। উচ্ছ্বসিত হয়ে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, "আমরা পেরেছি, চাঁদের দেশে পা রেখেছে ভারত। হাজার হাজার বিজ্ঞানীর জন্য এই সাফল্য এসেছে। ইসরো ছাড়াও গত কয়েকবছর ধরে প্রত্যেকের সাহায্য পেয়েছি।''
ব্যর্থতায় মুখ লুকিয়ে বসে থাকার পরিবর্তে কার্যতই জান লড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। ৪ বছরের লড়াই শেষে অবশেষে সফল। এবিষয়ে মিশন ডিরেক্টর শ্রীকান্ত বলেন, “প্রত্যেককে ধন্যবাদ। প্রত্যেকটা ধাপ সফলভাবে হয়েছে।’’ অ্যাসোসিয়েট প্রোজক্ট ডিরেক্টর কল্পনা কে-র কথায়, “আমরা পেরেছি লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে। চন্দ্রযান ২-এর পর চন্দ্রযান ৩ এর জন্য আমরা আপ্রাণ খেটেছি। চেয়ারম্যান এবং ডিরেক্টরদের অভিভাবকত্বে এটা পাওয়া সম্ভব হয়েছে।’’
২০১৯ সালে ল্যান্ডার 'বিক্রম' চাঁদের অবতরণ করতে ব্যর্থ হয়। তা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার বাড়তি সতর্কতা ছিল। এই মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এম শঙ্করন। ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিরেক্টর এম শঙ্করন বলেন, “২০১৯ থেকে ৪ বছর সময় লাগল, কিন্তু আমরা পেরেছি। নাওয়া খাওয়ার মতো এই চন্দ্রযান ৩-কে নিয়ে কাজ করাকে দৈনন্দিন কাজ করে ফেলেছিলেন সবাই। এই সাফল্য আমাদের আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। ইচ্ছাকৃত হোক অনিচ্ছাকৃত, অনেকে মানুষের সাহায্যের জন্য এই সাফল্য এসেছে। আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব। আগামীদিনেও উড়বে জয়ধ্বজা।’’
২০১৯-এর ব্যর্থতা ঢেকে গেল ২০২৩-এর ২৩-এ।বুধ-সন্ধ্যার মাহেন্দ্রক্ষণে রুপোলি চাঁদ হাতে পেল ভারত। বুধবার সকাল থেকে দেশজুড়ে ছিল উন্মাদনা। ইসরোর বিজ্ঞানীদের নজর ছিল র্যাডারে। শেষমেশ, সব উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর প্রতীক্ষার অবসান। ইসরো সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধে ৬টা ৪-এ চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে মাটি স্পর্শ করেছে ল্যান্ডার বিক্রম। শুধু ইসরোর অন্দরেই নয়, দেশজুড়েই গর্বের মুহূর্ত। চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্যে ভারতের প্রথম মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা বলেন, “আমি একটুও অবাক নই। কারণ জানতাম, সাফল্য আসবেই। গর্বিত ভারতীয় ছিলাম। আরও গর্বিত হব এবার।’’