Colonel Santosh Babu: গালওয়ান-সংঘাতে নিহত কর্নেল সন্তোষ বাবুকে মরণোত্তর মহাবীর চক্র সম্মান প্রদান
চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত কর্নেল সন্তোষ বাবুকে এবার দেওয়া হচ্ছে মরণোত্তর মহাবীর চক্র সম্মান।
নয়া দিল্লি: গালওয়ানে (Galwan) চিনা সেনার (Chinese Army) সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত কর্নেল সন্তোষ বাবুকে (Col Santosh Babu) এবার দেওয়া হচ্ছে মরণোত্তর মহাবীর চক্র সম্মান (Maha Vir Chakra)। তেলেঙ্গানার বাসিন্দা সন্তোষ বাবু গত বছর ১৫ জুন গালওয়ানে ৩০ জন নিরস্ত ভারতীয় সেনাকে (Indian Army) নিয়ে পরিস্থিতি সরজমিনে দেখতে যান। সেখানে চুক্তি ভেঙে তাঁদের উপর হামলা চালায় চিনা ফৌজ। বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করে মৃত্যু বরণ করেন সন্তোষ বাবু।
এই মহা বীর চক্র ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক বীরত্ব পুরস্কার। চিনের লালফৌজের সঙ্গে লড়াই করে তাঁর আত্মবলিদানের কথা মনে রেখেছে গোটা দেশ৷ শুধু তাঁকেই নয়, ভারত সরকার মরণোত্তর বীরচক্রের সম্মানিত করছে নায়েব সুবেদার নুদুরাম সোরেন (১৬ বিহার), হাবিলদার কে পালানি (৮১ ফিল্ড), হাবিলদার তেজিন্দর সিং (৩ মিডিয়াম), নায়েক দীপক সিং (১৬ বিহার) এবং সেপাই গুরতেজ সিং কেও বীর চক্রে সম্মানিত করা হবে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে, কর্নেল সন্তোষ বাবু ছাড়াও, অপারেশন স্নো-লেপার্ডের জন্য গালওয়ান উপত্যকায় অদম্য সাহসিকতার জন্য আরও পাঁচজন সেনাকে বীর চক্রে ভূষিত করার ঘোষণা করা হয়েছিল। বিহার রেজিমেন্টের কর্নেল বিকুমালা সন্তোষ বাবু চিনা সেনার বিরুদ্ধে স্নো লেপার্ড অপারেশনের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। ভয়ঙ্কর সেই আক্রমণের মুখে শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। গুরুতর আহত হওয়া সত্ত্বেও তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগে পর্যন্ত সংঘর্ষে নেতৃত্ব দেন।
অভিনন্দন বর্তমানকে ( Abhinandan Varthaman ) বীর চক্র (Vir Chakra) সম্মানে সম্মানিত করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ( President Ram Nath Kovind )। ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন উইং কম্যান্ডার (Wing Commander) অভিনন্দন বর্তমান পাকিস্তানের F-16 (Pakistani F-16) বিমানকে গুলি করে অবতরণ করে। সেই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সোমবার বীর চক্র সম্মানে সম্মানিত করা হয় ক্যাপ্টেন অভিনন্দন বর্তমানকে।
২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানের সীমানায় ঢুকে যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেন অভিনন্দন। তার জন্য পাকিস্তানের হাতে তাঁকে বন্দিও হতে হয়েছিল। এমনকী সংশ্লিষ্ট দেশ ভারতীয় সেনা সংক্রান্ত তথ্য আদায়ের চেষ্টা করা করেও বলে জানা যায়। কিন্তু সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করেননি অভিনন্দন। সাহসিকতা ও দেশপ্রেমের জন্য তৎকালীন উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ‘বীর চক্র’ সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভারত সরকারের।