এক্সপ্লোর
Advertisement
বিহারে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত,বাড়ছে নীতীশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, মন্ত্রী হতে পারেন উপেন্দ্র কুশওয়া
রাজনীতিতে স্থায়ী শত্রু বা মিত্র বলে কিছু হয় না। বিহার রাজ্য রাজনীতিই এর জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। বিহারে সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে আরএলএসপি-কে। কিন্তু তারা এবার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ-র সঙ্গে হাত মেলাতে পারে।
পটনা:রাজনীতিতে স্থায়ী শত্রু বা মিত্র বলে কিছু হয় না। বিহার রাজ্য রাজনীতিই এর জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। বিহারে সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে আরএলএসপি-কে। কিন্তু তারা এবার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ-র সঙ্গে হাত মেলাতে পারে। আরএলএসপি প্রধান উপেন্দ্র কুশাওয়া গোপনে নীতীশের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে খবর। এর পরই দুই দলের দূরত্ব কমার জল্পনা জোরালো হয়েছে। বিহার রাজনীতিতে জোর জল্পনা চলছে যে, রাজ্যপালের কোটায় বিধান পরিষদে সদস্য করে কুশওয়াকে মন্ত্রী করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, বিহারের ১৭ তম বিধানসভার প্রথম অধিবেশনের শেষ দিন গত ২৭ নভেম্বর বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। কঠোরভাবে এর জবাবও দিয়েছিলেন নীতীশ। তিনি তেজস্বীর আচরণকে অশোভনীয় আখ্যা দেন। এই ঘটনায় কুশওয়াও তেজস্বীর আচরণের সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এ জন্য পরে কুশওয়াকে ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন নীতীশ। সেইসঙ্গে দেখা করার আগ্রহও প্রকাশ করেছিলেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে দুজনের বৈঠক হয় বলে খবর।
এবারের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে গ্রেট ডেমোক্র্যাটিক সেকুলার ফ্রন্ট (জিডিএসএফ)-এর নেতা ছিলেন। বিএসপি, মিম, দেবেন্দ্র যাদবের পার্টি সহ আরও ছয় দলের এই জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলেন কুশওয়া। আরএলএসপি ১০৪ আসনে লড়াই করেও একটি আসনও পেতে ব্যর্থ হয়।
বিহার রাজনীতিতে একটা সময় সমতা পার্টিতে নীতীশ ও কুশাওয়ার বেশ সুসম্পর্ক ছিল। ১৯৯৫-তে সমতা পার্টির টিকিটে কুশওয়া বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন। জেডিইউ-র পক্ষ থেকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতাও হয়েছিলেন তিনি। ২০০৫-এ বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর কুশওয়া জেডিইউ-র সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেন। পরে অবশ্য নীতীশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের মেরামত হয়। জেডিইউ-র রাজ্যসভার সাংসদ হন তিনি। কিন্তু ২০১০-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ইস্তফা দেন। ২০১৩-কে ডক্টর অরুণ কুমারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আরএলএসপি-তে গঠন করেন। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে ভোটে জিতে কেন্দ্রে মন্ত্রীও হয়েছিলেন। ২০১৮-তে এনডিএ ছেড়ে মহাজোটে শামিল হন। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ছয় আসনের একটিতেও জয়ী হতে পারেনি তাঁর দল। ২০২০-র বিধানসভা নির্বাচনে সম্মানজনক আসন না পাওয়ায় কুশওয়া মহাজোট থেকে আলাদা হয়ে যান।
পরবর্তী পরিস্থিতিতে নীতীশের সঙ্গে কুশাওয়ার ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, কুশওয়া ও নীতীশের সাক্ষাতের ফলাফল খুব শীঘ্রই সামনে আসবে। বিহারে দেখা যেতে পারে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
শিক্ষা
Advertisement