Corona in Bengal: সংক্রমণের আশঙ্কায় এলেন না কেউ, ৩ দিন ধরে বাড়িতেই পড়ে সত্তরোর্ধ্ব করোনা রোগী
ক'দিন আগেই কোভিডে ওই পরিবারের একজনের মৃত্যু হয়, হাসপাতালে ভর্তি আরও তিনজন..
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ৩ দিন ধরে বাড়িতেই পড়ে রইলেন সত্তরোর্ধ্ব করোনা রোগী। সংক্রমণের আশঙ্কায় এগিয়ে এলেন না প্রতিবেশীরা। পরে পঞ্চায়েত সমিতির সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করা হল করোনা আক্রান্তকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে ওই পরিবারের একজনের মৃত্যু হয়। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় পরিবারের ৩ সদস্য হাসপাতালে ভর্তি।
গত তিনদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন পরিবারের সত্তরোর্ধ্ব আরেক সদস্য। প্রতিবেশীরা এগিয়ে না আসায় শেষপর্যন্ত বজবজ ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহায়তায় তাঁকে মহেশতলা সেফ হোমে ভর্তি করা হয়।
গতকাল, এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কাশিমবাজার। করোনা সন্দেহে প্রায় ৩০ ঘণ্টা বাড়িতেই পড়েছিল বৃদ্ধার দেহ। বাড়িতে একাই থাকতেন বাসন্তী চক্রবর্তী নামে ওই বৃদ্ধা। ছেলে থাকেন অন্যত্র।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সকালে বৃদ্ধাকে শেষবার দেখেন প্রতিবেশীরা। গতকাল সকালে বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় প্রতিবেশীরা ছেলেকে খবর দেন।
যদিও করোনা সন্দেহে দেহ সত্কারে কেউ এগিয়ে আসেননি বলে মৃতের পরিবারের দাবি। রাতে বহরমপুর থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।
অন্যদিকে, ১২ ঘণ্টা ধরে করোনা আক্রান্তের দেহ পড়ে থাকার ঘটনা ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে। গতকাল রাত ১১টা নাগাদ মৃত্যু হয় রামকৃষ্ণনগরের বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত রমা মুখোপাধ্যায়ের।
তাঁর ছেলেও করোনা আক্রান্ত। দেহ দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকার পরেও প্রশাসনের হেলদোল নেই বলে অভিযোগ তোলে মৃতের পরিবার। এরপরই পানিহাটি পুরসভার তরফে দেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রথমবার বাংলায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হল দেড়শোও বেশি মানুষের। এই নিয়ে টানা ১৬ দিন ধরে রাজ্যে একশো পেরিয়ে গেল মৃতের সংখ্যা।
বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় ১৫৭ জন করোনা আক্রান্ত প্রাণ হারিয়েছেন। এর আগে একদিনে এত পরিমাণ করোনা আক্রান্তের মৃত্যু দেখেনি এরাজ্য। মঙ্গলবারও এই সংখ্যাটা ছিল ১৪৫।
বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজারের সামান্য বেশি। মঙ্গলবারের তুলনায় যা কিছুটা কম।