(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Dilip Ghosh: টাকা লেনদেনের কথা যাঁরা বলছেন, প্রমাণ দেওয়ার দায়িত্বও তাঁদের, নাম না করে তথাগতকে নিশানা দিলীপের
BJP leader Dilip Ghosh:সবার সামনে কিছু বলে দিয়ে হয়তো নিজেকে ভালো বলে তুলে ধরা যায়। কিন্তু যে কথা বলছেন, তা প্রমাণ সহ দেওয়া উচিত। কারণ এটা শুধু দল নয় সমাজের পক্ষে ঠিক নয়।
কলকাতা: অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের দলত্যাগ নিয়ে বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের মন্তব্য ঘিরে দলের অন্দরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায় টাকাপয়সা লেনদেনেরও অভিযোগ তুলেছেন। এই প্রসঙ্গে এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, যাঁরা এসব কথা বলছেন , প্রমাণ দেওয়ার দায়িত্বও তাঁদের। সবার সামনে কিছু বলে দিয়ে হয়তো নিজেকে ভালো বলে তুলে ধরা যায়। কিন্তু যে কথা বলছেন, তা প্রমাণ সহ দেওয়া উচিত। কারণ এটা শুধু দল নয় সমাজের পক্ষে ঠিক নয়।
উল্লেখ্য, অন্যানা রাজ্যে যখন ক্ষমতা ধরে রাখতে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি, তখন বাংলায় ক্ষমতা দখলের চেষ্টা ধাক্কা খাওয়ার পর থেকে বিজেপির অন্দরে কোন্দল থামছে না। বৃহস্পতিবার বিজেপি ছাড়ার ঘোষণা করেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এরপরই ট্যুইটে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়।
এরইসঙ্গে বিধানসভা ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শ্রাবন্তীরও কড়া সমালোচনা করেন তিনি। সেইসঙ্গে একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগও করেন। তিনি বলেন, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপি সম্পর্কে কতটা ধারণা আছে সে সম্পর্কে আমি জানি।সেটা হল শূন্য। উনি নিজের স্বার্থ উসুল করে নিয়েছেন, প্রচুর টাকা নিয়েছেন, সেই সঙ্গে মদন মিত্রের সঙ্গে জলকেলি,নৌকাবিহার ইত্যাদি করেছেন, সময় হয়ে গেছে চলে গেছেন। বিজেপির ঘাড় থেকে ভূত নেমেছে।
আর অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার তথাগত রায়ের এই অভিযোগই, বঙ্গ রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
বিন্দুমাত্র দেরি না করে, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, ট্যুইট করে বলেন, শ্রাবন্তী ইস্যুতে তথাগত রায় বলেছেন, ভোটের আগে অনেককে দলে নিতে অপরিসীম টাকা ব্যবহার করেছিল বিজেপির কিছু নেতা।অবিলম্বে ইডি এবং সিবিআই তদন্ত চাই।বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি, প্রাক্তন রাজ্যপাল, বর্ষীয়ান নেতা যখন 'অপরিসীম' টাকা লেনদেনের কথা বলেছেন তখন PMLA অনুযায়ীও তদন্ত হোক।
যদিও, তথাগত রায়ের লাগাতার আক্রমণের মুখে চরম অস্বস্তিতে পড়লেও, বিজেপি এ নিয়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ। গতকাল দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, পার্টিতে কার গুরুত্ব আছে, পার্টির কে পদাধিকারী, নীতি কে বানাচ্ছে? তার উপর নির্ভর করছে। পদাধিকারি হিসেবে থেকে এরকম কাজ করলে, পদ থেকে মুক্ত করবে।