Ranji Trophy: বাবা হাসপাতালে, দলের স্বার্থে মাঠে বাংলার অধিনায়ক, 'দানা'র ঝাপ্টায় রঞ্জি ম্যাচের প্রথম দিন পণ্ড
Bengal vs Kerala: অনুষ্টুপ মজুমদারের দায়বদ্ধতা দিনের শেষে বাংলা শিবিরে উদাহরণ হয়ে থাকল। তবে স্বস্তি ফেরাতে পারল না। কারণ, ঘূর্ণিঝড় দানার ঝাপ্টায় বাংলা বনাম কেরল ম্যাচের প্রথম দিন পণ্ড হল।
কলকাতা: বাবা হাসপাতালে। দলের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখিয়ে ছেলে পৌঁছে গেলেন মাঠে। রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা যে! তার ওপর তাঁর কাঁধেই বাংলার নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব। প্রতিপক্ষ কেরল (Bengal vs Kerala)। রঞ্জি ট্রফির নক আউটে পৌঁছতে হলে যে ম্যাচ থেকে পয়েন্ট নেওয়া জরুরি বাংলার।
অনুষ্টুপ মজুমদারের দায়বদ্ধতা দিনের শেষে বাংলা শিবিরে উদাহরণ হয়ে থাকল। তবে স্বস্তি ফেরাতে পারল না। কারণ, ঘূর্ণিঝড় দানার ঝাপ্টায় সল্ট লেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে বাংলা বনাম কেরল ম্যাচের প্রথম দিন পণ্ড হল। মাঠ ভিজে থাকায় তিনবার পর্যবেক্ষণের পর শনিবারের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেন আম্পায়াররা।
চলতি মরশুমে ঘরের মাঠে দুই ম্যাচ মিলিয়ে পাঁচদিন নষ্ট হল বাংলার। কল্যাণীতে বৃষ্টিতে মাঠ এমনই ভিজেছিল যে, চারদিনেও তা শুকানো যায়নি। বাংলা বনাম বিহার ম্যাচ যে কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। গ্রুপের দুর্বলতম দলের বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল বাংলাকে। নক আউট পর্বে ওঠার দৌড়ে যে ম্যাচের পয়েন্ট নষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিশেষ অনুমতি নিয়ে ঘূর্ণিঝড় দানার আশঙ্কায় বাংলা বনাম কেরল ম্যাচ কল্যাণীর বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি থেকে সরিয়ে সল্ট লেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে এসেছিলেন সিএবি কর্তারা। কল্যাণীর ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বাড়তি সতর্কতাও নেওয়া হয়েছিল। ম্যাচের দুদিন আগেই গোটা মাঠ ঢেকে ফেলা হয়েছিল কভারে। বাড়তি মাঠকর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল। ইডেন থেকে আনা হয়েছিল বাড়তি সুপার সপার।
তবে শনিবার ভোরের বৃষ্টিতে জোর ধাক্কা খায় ম্যাচের আয়োজন। বৃষ্টি থামার পর রোদ উঠতেই কভারের ওপর থেকে জল সাফ করার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন মাঠকর্মীরা। তত্ত্বাবধান করেন বোর্ডের নিরপেক্ষ কিউরেটর। সুপার সপার চালানো হয়। পরে কভারও সরানো হয়। কিন্তু মাঠের কয়েকটি জায়গা বেশ কাদা হয়েছিল। যে কারণে ম্যাচ শুরু করা যায়নি। রবিবার, ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সকালে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ শুরু করা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলছিলেন, 'আবহাওয়ার ওপর কারও হাত নেই। তবে আমি ইতিবাচক থাকছি। ছেলেরাও মুখিয়ে রয়েছে। আশা করছি রবিবার খেলা হবে।'
আরও পড়ুন: কোহলির ব্যাটিং-ভিডিও দেখে অস্ট্রেলিয়ায় বোলারদের শাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাংলার ক্রিকেটার