Deepfake: ডিপফেক ভিডিও আসলে কী? কীভাবে বুঝবেন একটি ভিডিও ডিপফেক? রইল খুঁটিনাটি তথ্য
Deepfake Video: ডিপফেক ভিডিও বা ছবি তৈরি করে আসলে ডিপ লার্নিং প্রযুক্তির অপব্যবহার করা হচ্ছে। টেকনোলজির ভাষায় বলা যায়, এআই- এর অপব্যবহার করে কনটেন্ট ম্যানিউপুলেট করা হচ্ছে এই পদ্ধতিতে।
Deepfake: বিগত কয়েকদিন ধরেই ডিপফেক ভিডিও (Deepfake Videos) নিয়ে বেশ হইচই শুরু হয়েছে। এই ডিপফেক ভিডিওর শিকার হয়েছেন তারকারাও। ইতিমধ্যেই রশ্মিকা মান্দানা (Rashmika Mandana) এবং ক্যাটরিনা কাইফের (Katrina Kaif) ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সম্প্রতিই এক ইনফ্লুয়েন্সারের মুখে 'পুষ্পা' অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দানার মুখ ব্যবহার করে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া হয়। তারপরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই 'টাইগার ৩' সিনেমার একটি লুক থেকে ক্যাটরিনার 'ডিপফেক' ছবি তৈরি করে ভাইরাল করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ডিপফেক ভিডিও বা ছবি তৈরি করে আসলে ডিপ লার্নিং প্রযুক্তির (Deep Learning Technology) অপব্যবহার করা হচ্ছে। টেকনোলজির ভাষায় বলা যায় এআই- এর (Artificial Intelligence) অপব্যবহার করে কনটেন্ট ম্যানিউপুলেট করা হচ্ছে এই পদ্ধতিতে।
এই ডিপফেক আসলে কী, রইল কিছু খুঁটিনাটি তথ্য
ডিপফেক হল আসলে ভুয়ো ভিডিও। সেখানে কারও মুখের আদল কিংবা কণ্ঠস্বর বদলে ফেলা যায় অনায়াসে। আর এই কাজ করা সম্ভব হয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই- এর সাহায্যে। অর্থাৎ কারও চেহারার সঙ্গে আপনার মুখ বসিয়ে তৈরি করা হতে পারে ভুয়ো ভিডিও। অথবা কারও কণ্ঠস্বরের জায়গায় বসিয়ে দেওয়া হতে পারে আপনার কণ্ঠস্বর। বর্তমানে এআই- এর দৌলতে এইসব কাজ করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হচ্ছে অনেককেই।
ফেস সোয়াপিং- এর অর্থ হল ভিডিও বা ছবিতে দেখা যাবে একজনের শরীর আর অন্য জনের মুখ। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের অ্যালগোরিদমের সাহায্যে এই কাজ করা সম্ভব। এই এআই অ্যালগোরিদমকে কোডার এবং এনকোডার বলা হয়। এর সাহায্যে একটি ভিডিও বা ছবিতে অনায়াসে একজন ব্যক্তির সঙ্গে অন্য কোনও ব্যক্তির মুখের আদল বদলে দেওয়া সম্ভব।
ডিপফেক আর ফটোশপের মধ্যে ফারাক কী- ফটোশপ আর ডিপফেক কিন্তু একেবারেই এক নয়। দুটো ভিন্ন প্রযুক্তি। ডিপফেক ভিডিও বা ছবি তৈরির ক্ষেত্রে অ্যাডভান্সড ডিপ লার্নিং অ্যালগোরিদমের সাহায্য নেওয়া হয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে ডিপফেক ভিডিও কিংবা ইমেজের ক্ষেত্রে এমন জিনিস তৈরি করা হয় যা একঝলক দেখলে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হবে। অথচ ওই ভিডিও বা ছবিতে এআই- এর সাহায্যে যা দেখানো হবে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কোনও যোগসূত্রই থাকবে না বাস্তবে। সবটাই ভুয়ো। আর একটি বিষয় হল ফটোশপ করা ছবি, ভিডিও দেখলে তবু বোঝা সম্ভব যে ব্যাপারটা নকল, ভুয়ো। কিন্তু ডিপফেক ভিডিওতে ভুয়ো ব্যাপারটা বুঝে ওঠাই বেশ কঠিন ব্যাপার। চট করে বোঝা সম্ভব নয় একেবারেই।
ডিপফেক অ্যালগোরিদম- ডিপফেক অ্যালগোরিদম একটি পদ্ধতির মাধ্যমে চালু থাকে যার নাম জেনারেটিভ অ্যাডভারসেরিয়াল নেটওয়ার্কস। দুটো মেশিন লার্নিং মডেল একসঙ্গে কাজ করে যার সাহায্যে ভুয়ো ভিডিও বা ছবি তৈরি করা হয় এবং সেটা ডিটেক্টও করা যায় বা বোঝা যায়। আর এই গোটা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই তৈরি বিশ্বাসযোগ্য কিন্তু 'ভুয়ো' ভিডিও।
কীভাবে বুঝবেন যে চোখের সামনে দেখা ছবি বা ভিডিও ডিপফেক- সবার আগে অত্যন্ত খুঁটিয়ে ভালভাবে ভিডিও কিংবা ছবিটি দেখতে হবে। তাহলে আপনার চোখে ধরা পড়তে পারে চোখের পলক পড়ার মধ্যে অসামঞ্জস্য, অন্যরকমের কণ্ঠস্বর, মুখের আদলে অস্বাভাবিক কিছু, ঠোঁটের সন্দেহজনক নড়াচড়া। এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন কোনও ভিডিও বা ছবি ডিপফেক কিনা।
আরও পড়ুন- দীপাবলির সস্তার ডিলে থাকতে পারে ফাঁদ,কীভাবে নিরাপদে করবেন অনলাইন পেমেন্ট