Fake Voters Row: বাবা ৩৩, মেয়ে ৩৪! 'ভূতুড়ে ভোটার' খুঁজতে গিয়ে হিমশিম সকলে, হিসেব পিতা-পুত্রের অঙ্কের চেয়েও কঠিন
Katwa Voter List: তৃণমূলের দাবি, ভিন রাজ্যের বাসিন্দা পায়েল ভাটিয়ার নাম এ রাজ্যের ভোটার তালিকায় তোলা হয়েছে।

কাাটোয়া: পাটিগণিতের হিসেবে পিতা-পুত্রের বয়স বের করতে হিমশিম খেতে হয় আজও। কিন্তু তার চেয়েও বেশি হিমশিম খেতে হচ্ছে ভোটার তালিকার হিসেব মেলাতে গিয়ে। কাটোয়ায় ভোটার তালিকায় এমন বাবা ও মেয়ের সন্ধান মিলল, যাঁদের মধ্যে বয়সের ফারাক মাত্র এক বছর। শুধু তাই নয়, বাবার চেয়ে মেয়ে বয়সেও বড়। 'ভূতুড়ে ভোটার' ধরতে নেমে এমন একের পর এক ঘটনা সামনে আসতে থাকায় এই মুহূর্তে নাজেহাল অবস্থা প্রশাসনের কর্মী থেকে আধিকারিকদের। (Fake Voters Row)
তৃণমূলের দাবি, ভিন রাজ্যের বাসিন্দা পায়েল ভাটিয়ার নাম এ রাজ্যের ভোটার তালিকায় তোলা হয়েছে। কাটোয়া বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর।তালিকায় পায়েলের বয়স ৩৪ বছর দেখানো হয়েছে। তাঁর বাবা হিসেবে নাম লেখা রয়েছে তাপস দাসের (নাম পরিবর্তিত)। বাবার বয়স ৩৩ বছর বলে দেখানো হয়েছে। (Katwa Voter List)
এবিপি আনন্দ তাপসের বাড়িতে পৌঁছয়। তিনি জানান, পায়েলকে তিনি চেনেন বটে। কিন্তু কোনও পারিবারিক সম্পর্ক নেই তাঁদের। কী ভাবে তিনি পায়েলের বাবা হয়ে গেলেন জানা নেই। তাপসের মা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের মাত্র ৩৩ বছর বয়স। এখনও বিয়ে পর্যন্ত হয়নি। ভোটার তালিকায় তাঁর মেয়ের বয়স ৩৪ হয় কী করে, প্রশ্ন তুলেছেন তাপসের মা। ছেলেকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে বলে মত তাঁর। তাপসের বক্তব্য, পায়েল ভাটিয়া আসলে তাঁর বোনের বাসিন্দা। চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা তিনি। তাপসের দাবি, ভোটার তালিকায় নাম তুলতে তিনি পায়েলকে কোনও ভাবে সাহায্যও করেননি। কী ভাবে এমন হয়েছে, জানেন না তিনি।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্য়ায় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ জানিয়েছেন জেলাশাসকের কাছে। সরকারি কর্মী যাঁরা ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন, তাঁদের গাফিলতিতেই ভূতুড়ে ভোটার ঢুকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। কিন্তু এতদিন এই গরমিল কেন চোখে পড়ল না, কার ভুলে এমন ঘটল, এই প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভূতুড়ে ভোটার বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লিতে ভোটার তালিকায় বাইরের লোক ঢুকিয়ে বিজেপি জয় হাসিল করেছে বলে আগে থেকেই অভিযোগ উঠছে। বাংলাতেও বিজেপি সেই চেষ্টায় রয়েছে এবং মিষ্টির প্যাকেটের বিনিময়ে ভুয়ো ভোটার ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভূতুড়ে ভোটার শনাক্ত করার নির্দেশ দেন।
সেই মতো তৃণমূলের মন্ত্রী থেকে নেতা ও কর্মীরা কাজে নেমে পড়েছেন। আর তাতে একের পর এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে আসছে। তৃণমূলের দাবি, সমস্ত পরিচয়পত্র সামনে রেখে, সশরীরে হাজির থেকে ভোটার তালিকায় নাম তোলাই দস্তুর। কিন্তু এক্ষেত্রে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে দেদার নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ রাজ্যের বাসিন্দাই নন, এমন মানুষের নামও পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি-র পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনের দিকেও আঙুল তুলেছে তৃণমূল। যদিও বিজেপি-র দাবি, তৃণমূল আসলে গেরুয়া ভোটারদের নাম বাতিল করার মতলব আঁটছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
