ABP Ananda Khaibaar Pass 2024: ঝাল পাটিসাপটায় ভেটকির পুর, ডিমে মোড়া মাছ-মাংস.. খাইবার পাসের তাক লাগানো ফিউশন মেনু
ABP Ananda Khaibaar Pass 2024 Update: এবার বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে রসনতৃপ্তির এই মেলার। সম্ভারে থাকছে কী কী পদ, তার রয়েছে কী কী বিশেষত্ব? খোঁজ নিল এবিপি লাইভ
কলকাতা: মেলা কথাটার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মিলন শব্দটা। আর তার সঙ্গে যদি জড়িয়ে থাকে খাওয়া-দাওয়া... তবে বাঙালি সেই মিলনমেলায় সামিল হবেন না তাও কি হয়! এই বছর 'এবিপি আনন্দ খাইবার পাস' (ABP Ananda Khaibaar Pass 2024) পা দিল ১০ বছরে। এবার বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে রসনতৃপ্তির এই মেলার। সম্ভারে থাকছে কী কী পদ, তার রয়েছে কী কী বিশেষত্ব? খোঁজ নিল এবিপি লাইভ (ABP Live)।
এই বছর বাগবাজারের প্রাঙ্গণে খাবারের তালিকায় জায়গায় করে নিয়েছে বিভিন্ন স্বাদের পিঠেপুলি। তবে আপনি যদি ভেবে থাকেন, পিঠে মানেই মিষ্টি পদ, তা কিন্তু নয়। এবার পিঠেপুলির ফিউশনে রয়েছে, ভেটকি পাটিসাপটা। ঠিক কি এই ভেটকি পাটিসাপটা? এক্কেবারে সাবেকি পাটিসাপটার ভাঁজের ভিতরে ভরে দেওয়া হয় ঝাল ঝাল ভেটকির পুর। পাটিসাপটার ব্যাটারেও অবশ্য থাকে ঝাল নয়, বিভিন্ন মশলার স্বাদ। ওপরে মশলা ছড়ানো এই ভেটকি পাটিসাপটা রীতিমতো প্রমাণ সাইজের। তবে পিঠেপুলির সম্ভার এখানেই শেষ নয়। তালিকায় রয়েছে লাইভ পাটিসাপটা, চকোলেট পাটিসাপটা, বেকড ক্ষীর পাটিসাপটা, ম্যাঙ্গো পাটিসাপটা ও ডাবের তৈরি বিভিন্ন পদ। রয়েছে সাবেকি গোকুল পিঠে ও ভাজা পুলিও। চাইলে আপনার সামনেই বানিয়ে দেওয়া হবে সন্দেশ দেওয়া পাটিসাপটা। তারপরে, ওপরে খেজুর রস ছড়িয়ে গরম গরম তুলে দেওয়া হবে আপনার প্লেটে। মুখে দিলেই মিলিয়ে যাওয়ার অপেক্ষা কেবল।
একদিকে যেমন রয়েছে পাটিসাপটার এত রকমফের, তেমনই রয়েছে ডিমের পপ আপ রোল। নামের মতোই, খাবারটি বেশ অভিনব। বানানোর পদ্ধতিটিও চমকপ্রদ। একটি মেশিনে প্রথমে কাঁচা ডিম ভেঙে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। তাতে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন মশলা। এরপরে, কাঠিতে করে তারমধ্যে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে মাছ বা মাংসের পুর। কিছুক্ষণ পরেই মেশিন থেকে আপনা আপনিই বেরিয়ে আসছে অদ্ভুত এক রোল। ডিমের মোড়কে মোড়া মাছ বা মাংসের লোক। তারপরে প্লেটে তুলে, সার্ভ করা হচ্ছে মেয়োনিজ়, সস্ ও মশলা দিয়ে। সব মিলিয়ে এই রোল বেশ নতুন রকম বললেই চলে।
খাইবার পাসে কেবল খাবারের স্বাদের খোঁজই নয়.. তৈরি হয় অনেক গল্প। ঘুরতে ঘুরতেই খোঁজ পাওয়া গেল একদল বন্ধুর। প্রত্যেকেই গৃহবধূ, মধ্যবয়সী। বাড়ির কাজ সামলেই বন্ধুদের সঙ্গে হাজির হয়েছেন খাইবার পাসে। একজন বললেন, 'আজ আমার ছেলের প্রথম বিবাহবার্ষিকী। কিন্তু আমার ছেলের সঙ্গে এখনও দেখাই হয়নি। বন্ধুদের সঙ্গে পরিকল্পনা ছিল এখানে (খাইবার পাসে) আসার। তাই চলে এলাম। ফিরে ছেলের সঙ্গে উদযাপন করব। এখান থেকে নিয়ে যাব খাবারও।'