GB Syndrome Death :কয়েকদিনেই যুদ্ধ শেষ ! কলকাতায় আবার প্রাণঘাতী GB সিনড্রোম, এবার শিকার ২২ এর তরুণ
GB Syndrome : ২০২৫ সালের জানুয়ারির শেষে মহারাষ্ট্র থেকে প্রথম জিবি সিনড্রেমে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে আসে। সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে।

কলকাতা : আবার আতঙ্ক সৃষ্টি করল GB সিনড্রোম। RG কর হাসপাতালে মৃত্যু হল আক্রান্তের। মাস খানেক আগে পরপর বেশ কয়েকটি জিবি সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ফের রাজ্যে প্রাণ কাড়ল এই অসুখ।
২২ বছরের খইরুল শেখ, NRS মেডিক্য়াল কলেজে টেকনোলজিস্ট হিসেবে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। ১২ তারিখ, ডায়রিয়া হয়। তার পর থেকেই শরীরের নীচের অংশ অবশ হয়ে যায়। প্রথমে ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজে। CCU-তে চিকিৎসা চলছিল তাঁর।
গত কয়েক মাসে মহারাষ্ট্রে এই স্নায়ু রোগে আক্রান্ত হয়ে ছিলেন অনেকে। আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ পেরিয়েছিল শুধু পুণেতেই। ফেব্রুয়ারির শুরুতে মহারাষ্ট্রে সন্দেহভাজন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৪৯। এদের মধ্যে ১২৪ জনের ক্ষেত্রে GB সিনড্রোম বলে নিশ্চিত করা যায়। তারপরও সংখ্যাটা বেড়েছে। হালে মৃত্যু হয়েছে আরও ২ জনের।
২০২৫ সালের জানুয়ারির শেষে মহারাষ্ট্র থেকে প্রথম জিবি সিনড্রেমে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে আসে। সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। পুণে হয়ে ওঠে প্রাদুর্ভাবের ভরকেন্দ্র। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে দক্ষিণ ভারতেই আরও সংক্রমিতের খবর পাওয়া যায়। তারপর আস্তে আস্তে অন্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে আতঙ্ক।
চিকিৎসকরা বলছেন, স্নায়ুর এক বিরল রোগ এটি, যা শরীরকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত করে দিতে পারে। স্নায়ু দুর্বল হতে শুরু করে, পেশি অসাড় হয়ে যায়। রোগীর মুখ বেঁকে যেতে পারে, হাঁটাচলা করা বা কথা বলার ক্ষমতা থাকে না অনেক সময়েই। এই রোগ এখন হানা দিতে শুরু করে বঙ্গেও।
জিবিএসের মোকাবিলা করতে যে ইমিউনোগ্লোবিউলিন বা IVIG ইঞ্জেকশন প্রয়োজন হয় তা যথেষ্ট ব্যায়বহুল। একেকটি ইঞ্জেকশনের জন্য খরচ প্রায় ২০ হাজার টাকা। সুস্থ হতে বেশ কয়েকটি ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গেও জিবি সিনড্রোমে আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর সামনে আসছে, যা চিন্তা বাড়াচ্ছে আম-আদমির ।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক GB সিনড্রোমের লক্ষণগুলি কী কী
- এটি আসলে 'অটোইমিউন ডিসঅর্ডার'।
- ক্রমশ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
- রোগীর স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত হানে।
- পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যেতে পারেন রোগী।
- এই রোগে আক্রান্ত হলে পা বা কোমর অবশ হয়ে যায়।
- একে একে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অসাড় হয়ে পড়ে।
- চলে যায় কথা বলার শক্তি।
- দুর্বল হয়ে যায় স্নায়ু এবং ফুসফুসের পেশি।
- শ্বাস প্রশ্বাস নিতেও সমস্যা দেখা যায়।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
