Sandhya Mukhopadhyay Demise: "তাঁর সুরেলা কণ্ঠ আগামী প্রজন্মকে মুগ্ধ করবে,'' গীতশ্রীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
Sandhya Mukhopadhyay Passes Away: সঙ্গীত জগতে আবার ইন্দ্রপতন! প্রয়াত হলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। কোভিডকে হারালেও, জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন ৯০ বছরের কিংবদন্তী।
কলকাতা: প্রয়াত গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন,"গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ে প্রয়াণ আমরা সবাই শোকাহত। আমাদের সাংস্কৃতিক জগতে অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর সুরেলা কণ্ঠ আগামী প্রজন্মকে মুগ্ধ করবে। এই দুঃখের মুহূর্তে তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা রইল। ওম শান্তি।''
The passing away of Gitashree Sandhya Mukhopadhyay Ji leaves us all extremely saddened. Our cultural world is a lot poorer. Her melodious renditions will continue to enthral the coming generations. My thoughts are with her family and admirers in this sad hour. Om Shanti.
— Narendra Modi (@narendramodi) February 15, 2022
১৯৩১-এর আশ্বিন মাসে শিউলি ঝরা সময়ে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের (Sandhya Mukhopadhyay Demise) জন্ম। তাঁর বাবা নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন সু-গায়ক। দুর্দান্ত টপ্পা গাইতেন তাঁর মা হেমপ্রভা দেবী। মা-বাবার কাছেই ছোটবেলায় সুরের তালিম শুরু। গল্পদাদুর আসরে গান গেয়ে পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন পাঁচ টাকা। ১৯৪৫ সালে তাঁর প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়। আর তাঁর পুজোর গান প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। সেবছর সুধীরলাল চক্রবর্তীর সুরে পবিত্র মিত্রর লেখা দু’টি গেয়েছিলেন তিনি, ‘কার বাঁশি বাজে’ আর ‘কেন তুমি দূরে চলে যাও গো।’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গীত জীবনের প্রথম দিকে যে গানগুলি বিপুল সাড়া জাগিয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম হল ‘ওগো মোর গীতিময়।’ রবীন চট্টোপাধ্যায়ের সুরে কমল ঘোষের লেখা এই গানটি প্রকাশিত হয় ১৯৫০ সালে। এরপর সন্ধ্যা গাইলেন সলিল চৌধুরীর সুরে অবিস্মরণীয় দু’টি গান ‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে’ আর ‘উজ্জ্বল এক ঝাঁক পায়রা।’ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত থেকে শুরু করে আধুনিক বাংলা গান...সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বিস্তার অলঙ্ঘনীয়। ঘনিষ্ঠদের কাছে নিজের একটা অপূর্ণ ইচ্ছের কথাও মাঝে মধ্যেই বলতেন তিনি। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে আর বেশ কয়েকটি লং প্লেয়িং ডিস্ক করার স্বপ্ন ছিল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি।