School Reopen Peparation ১৬ নভেম্বর থেকে খুলছে স্কুল, জেলায় জেলায় শুরু প্রস্তুতি
আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত খুলছে স্কুল, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইনেই পড়াশোনা...
সুনীত হালদার ও সমীরণ পাল, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনা: ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খোলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত খুলছে স্কুল। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইনেই পড়াশোনা।
স্কুলের পাশাপাশি, ১৬ নভেম্বর থেকে খুলছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ও। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে খুশি পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যে করোনাবিধি মেনে স্কুল খুলতে তোড়জোর শুরু করেছে স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষগুলি। স্যানিটাইজ করা হচ্ছে ক্লাসরুম। হচ্ছে স্কুল চত্বর সাফাই। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনও।
বেলঘরিয়ার দেশপ্রিয় বিদ্যানিকেতন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে স্কুল খোলার প্রস্তুতি। স্কুল খোলার কথা শুনে বেজয় খুশি ছাত্রীরা। এক শিক্ষিকা বললেন, ক্লাসের বাইরে স্যানিটাইজার মাস্ক রাখছি। ক্লাসে ২০ জনের বেশি পড়ুয়া রাখছি না।
আরও পড়ুন: ১৬ নভেম্বর থেকে খুলছে স্কুল, কলেজ, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
মধ্য হাওড়ার শ্রী রামকৃষ্ণ শিক্ষালয়, উলুবেড়িয়া নোনা হাইস্কুলে পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সরকারি নির্দেশে কোভিডবিধি মেনে স্কুল খোলা হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের ঘোষণার পর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে উলুবেড়িয়া কলেজ কর্তৃপক্ষও। জোর দেওয়া হচ্ছে কোভিড বিধির ওপর। অধ্যক্ষ দেবাশিস পাল বলেন, ক্লাস রুমগুলি স্যানিটাইজ করার পর ছাত্র-ছাত্রীদের বসার অনুমতি দেওয়া হবে। কোভিড প্রটোকল মেনে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা ছাড়াও ক্লাসে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা হবে। এছাড়াও রেপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হবে যাতে কেউ সংক্রামিত না হয়।
এলাকার স্কুল, কলেজ খোলার বিষয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে উলুবেড়িয়া পুরসভা। প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অভয় দাস বলেন, স্কুল কলেজের প্রধান শিক্ষক অথবা প্রিন্সিপাল যেন পুরসভাকে স্কুল-কলেজ পরিষ্কারের জন্য চিঠি দেন। তাহলে পুরসভার সাফাই কর্মীরা স্কুল পরিষ্কারের পাশাপাশি স্কুলগুলিকে স্যানিটাইজ করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে খুলছে স্কুল-কলেজ, মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে একযোগে স্বাগত শিক্ষাবিদ-চিকিৎসকদের
পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার বাড়ঘাসীপুর হাইস্কুলও ভরে গিয়েছে আগাছায়। সেখানে চলছে বকেয়া নির্মানের কাজ। মহিষাদল রাজ হাইস্কুলের ক্যাম্পাসেও এখন শুধুই আগাছা। তবে দুটি স্কুল কর্তৃপক্ষই জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো, স্কুল খোলার আগে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
দুর্গাপুরের পলাশডিহা হাইস্কুলে করোনা আবহে প্রায় ২ বছর বন্ধ স্কুলের দরজা। টিফিনটাইমে যে মাঠে দাপিয়ে বেড়াত কচিকাচারা, সেখানেই এখন প্রায় হাঁটু সমান ঘাস।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় দুর্গাপুর ইস্পাত বিদ্যালয়ের সর্বত্রই জমেছে ধুলোর স্তর। জন্মেছে আগাছা। মুখ্যমন্ত্রীর স্কুল খোলার ঘোষণার পর দুর্গাপুর মাইকেল মধুসূদন মেমোরিয়াল কলেজেও শুরু হয়েছে পরিষ্কারের প্রস্তুতি।
আরও পড়ুন: সরকারের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্তে খুশি পড়ুয়া থেকে কর্মীরা
আর দশটা স্কুলের মতো মালদার ইংরেজবাজারের বার্লো গার্লস হাইস্কুলেও বেঞ্চে বেঞ্চে জমেছে ধুলোর স্তর। স্কুলের ভিতরে জড়ো হয়েছে আবর্জনা। প্রধান শিক্ষিকা জানালেন, পরিষ্কারের প্রয়োজন আছে। ক্লাসরুম স্যানিটাইজ করা হবে। তবে স্কুল খোলায় খুশি।
সব মিলিয়ে জেলার স্কুলে এখন প্রস্তুতি তুঙ্গে। অপেক্ষা আবার পড়ুয়াদের আসার।