Primary Recruitment Scam: ‘নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও অপরাধমূলক পদক্ষেপ করেনি পর্ষদ’, দাবি হাইকোর্টে
Primary TET Scam: হাইকোর্টের বিচারপতির জবাবে পর্ষদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, সবাইকে ১ নম্বর বাড়তি দিলে লাভ হত না।
কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি (Primary TET) মামলায় হাইকোর্টে (Highcourt) আজও স্বস্তি পেল না পর্ষদ। সিবিআই (CBI) তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের আবেদনে আপাতত কোনও নির্দেশ দিল না ডিভিশন বেঞ্চ। বরং প্রাথমিক পর্ষদকে প্রশ্ন বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় পর্ষদকে।
হাইকোর্টের তরফে কী বলা হয়?
- ‘প্রশ্ন ভুল আছে, বিশেষজ্ঞ কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কিছু প্রার্থীকে বাড়তি ১ নম্বর দিলেন’
- ‘আপনাদের কি উচিত ছিল না যে, কৃতকার্য এবং অকৃতকার্য নির্বিশেষে সবাইকে ১ নম্বর দেওয়া?’
- ‘আপনাদের কি মনে হয় না এক্ষেত্রে আপনারা বৈষম্য করেছেন?’
- ‘২৩ লক্ষ প্রার্থীর প্রেক্ষিতে ২৭৩ খুবই নগণ্য সংখ্যা’
- ‘বাড়তি নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া প্রয়োজন বলে সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ভুল ছিল?’
এদিকে হাইকোর্টের বিচারপতির জবাবে পর্ষদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, সবাইকে ১ নম্বর বাড়তি দিলে লাভ হত না। আরও বলা হয়, ‘যাঁদের ১ নম্বর কম ছিল তাঁদের দেওয়াটাই যুক্তিসঙ্গত। শুধুমাত্র প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া হয়েছে।' এমনকী, ‘নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও অপরাধমূলক পদক্ষেপ করেনি পর্ষদ’, এদিন হাইকোর্টে এমনই দাবি পর্ষদের।
আরও পড়ুন, ক্ষমা না চাইলে ২ কোটির মানহানি মামলা, চাকরি দুর্নীতি মন্তব্যে লকেটকে হুঁশিয়ারি বেচারামের
প্রসঙ্গত, ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল, বেতন বন্ধ এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিন দুই পক্ষের আইনজীবীদেরকে তাঁদের বক্তব্য সংক্ষিপ্ত আকারে লিখিতভাবে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।