Panchayat Elections 2023: BJP-র হাতের পুতুল ISF! তৃণমূলের হাতে নৌশাদের ‘গোপন চ্যাট’, অশুভ আঁতাতের অভিযোগ
Nawsad Siddique: শনিবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ছিল। এরপরই সাংবাদিক বৈঠক করেন দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দি রায় এবং দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে (Panchayat Elections 2023) বাংলা-বিরোধী অশুভ আঁতাতের অভিযোগ নিয়ে এবার সরব হল তৃণমূল (TMC)। তাদের অভিযোগ, বিজেপি-র (BJP) সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্যে তৃণমূল এবং বাংলা বিরোধী অশুভ আঁতাত তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটলে এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
শনিবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ছিল (Mamata Banerjee)। সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি, রণকৌশল নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। এর পরই সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দি রায় এবং দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেখানে ISF, BJP, CPM এবং কংগ্রেসকে একযোগে নিশানা করেন তাঁরা।
অশুভ আঁতাত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কুণাল সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি হোয়্যাটসঅ্যাপ কথোপকথনের স্ক্রিনশট তুলে ধরেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নৌশাদ সিদ্দিকি এবং বিজেপি-র কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মধ্যে ওই কথোপকথন হয় বলে জানান কুণাল। তাঁর দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের আগে কৈলাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সময় চান নৌশাদ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইকেও চিঠি লেখেন। তাতে কোন কোন অফিসারকে কোথায় বদলি করতে হবে, তার সুপারিশ করেন নৌশাদ।
ওই স্ক্রিনশটের সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। তবে এদিন সেটি তুলে ধরে কুণাল বলেন, "বিজেপি-র হাতে পুতুল হয়ে, কিছু মানুষকে ভুল বোঝাতেই ISF দলতি গঠিত হয়েছে এবং সেই কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে তাদের। বিজেপি-র সঙ্গে ISF এবং তাদের মাধ্যমে বামপন্থীদের অন্ধ তৃণমূলবিরোধী, সুবিধাবাদী জোট হয়েছে।"
ওই স্ক্রিনশটকে সামনে রেখে কুণাল আরও বলেন, "ISF-কে সামনে রেখে নৌশাদ এবং আরও কয়েক জন বিজেপি-র হাতে তামাক খাচ্ছেন। ভোট কাটার খেলা খেলছেন। কিছু মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। নৌশাদ বলুন এই স্ক্রিনশট সত্য কিনা। ভুল হলে মানহানির মামলা করুন। অপরাধমূলক মামলা করুন। তৃণমূলও বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাবে যে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের থাকার সুবিধা নিয়ে বিজেপি কী ভাবে কমিশনের উপর প্রভাব বিস্তার করেছিল। কী ভাবে নৌশাদের মাধ্যমে কৈলাসের কাছে পুলিশ আধিকারিক বদলির সুপারিশ যাচ্ছিল।"
নৌশাদের দাদা, ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির ছ'সেকেন্ডের একটি ভিডিও-ও তুলে ধরেন কুণাল, যাতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "আমরা যাঁরা বিজেপি-কে পছন্দ করি, তৃণমূলকে ভোট দিয়ে কী লাভ হবে? তৃণমূলকে ভোট দিয়ে কী করব?" ওই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। তবে কল্য়াণের দাবি, এখানে ISF একা নয়, কংগ্রেস, বামদের সঙ্গে যেহেতু জোট ছিল, তারাও দায় অস্বীকার করতে পারে না। কল্যাণের মতে, বাংলায় CPM, কংগ্রেস, ISF এবং BJP এক হয়েছে। অশুভ আঁতাত তৈরি হয়েছে একটি। এঁদের ভোট দেওয়ার অর্থ BJP-কে ভোট দেওয়া। তাই বাংলার মানুষকেই ঠিক করতে হবে, তাঁরা BJP-কে রাখবেন কিনা।