Volkswagen Polo hatchback: পোলো হ্যাচব্যাকের টিজার আনল ফক্সওয়াগন, ২২ এপ্রিল আত্মপ্রকাশ
ফক্সওয়াগনের পোলো নিয়ে এমনিতেই উৎসাহ রয়েছে অটো ব্লগারদের মনে। গাড়ির টিজার সামনে আসতেই শুরু হয়েছে কৌতূহল। চলতি সপ্তাহেই ২২ এপ্রিল বিশ্ববাজারে আসছে নতুন এই গাড়ি।
নয়াদিল্লি: বহু প্রতীক্ষার অবসান। পোলো ফেসলিফ্ট দিয়েই পুরোনো ভার্সন ভারতের বাজারে চালাচ্ছিল ফক্সওয়াগন। এবার বাজারে আসতে চলেছে জার্মানির কার প্রস্তুতকারী সংস্থার জনপ্রিয় গাড়ি পোলো।
ফক্সওয়াগনের পোলো নিয়ে এমনিতেই উৎসাহ রয়েছে অটো ব্লগারদের মনে। গাড়ির টিজার সামনে আসতেই শুরু হয়েছে কৌতূহল। চলতি সপ্তাহেই ২২ এপ্রিল বিশ্ববাজারে আসছে নতুন এই গাড়ি। কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, কোনও ফেসলিফ্ট নয়, একেবারে নতুন প্লাটফর্মে তৈরি হয়েছে
এই প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক। মনে করা হচ্ছে, কোম্পানির এমকিউবি প্লাটফর্মে তৈরি হয়েছে এই গাড়ি।
টিজারের স্কেচ দেখে মনে হচ্ছে, এবার সামনে এলডি হেডলাইট দিয়েছে এই জার্মান কারমেকার। বনেটে কার্ভ ডিজাইন পোলোকে আরও নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। কার ব্লগারদের মতে, নতুন পোলো আগের থেকে অনেক চওড়া হবে। হ্যাচব্যাক হলেও এতে সহজেই পাঁচজন বসতে পারেবন। নতুন বাম্পার ও গ্রিল দেওয়া হবে এই হ্যাচব্যাকে।
বর্তমানে ভারতে দুটি ইঞ্জিন অপশনে আসছে পোলো হ্যাচব্যাক। এক লিটারের পোট্রোল ইঞ্জিন ছাড়াও ১ লিটারের টার্বো পেট্রোল ইঞ্জিন অপশন রয়েছে গাড়িতে। এমনিতেই ভারতের বাজারে হ্যাচব্যাক সেগমেন্টে পাওয়ার বিস্ট বলা হয় ফক্সওয়াগন পোলোকে। এই সেগমেন্টে হুন্ডাই আই২০, মারুতি বালেনোর মতো গাড়ি রয়েছে। কোনও অংশেই মাইলেজ ও ফিচারসের দিক থেকে পিছিয়ে নেই এই গাড়িগুলি। ডিজাইনও মন কেড়েছে মানুষের।
যদিও কার ব্লগারদের মতে, ফক্সওয়াগনের গাড়ির মধ্যে একটা থ্রাস্ট থাকে, যা সব গাড়িতে পাওয়া যায় না। হ্যাচব্যাক হলেও হাইরোডে চালাতে ভয় হয় না চালকদের। গাড়ির স্টেবিলিটি অনেক ভালো। তবে ইউরোপ ও বিশ্বের অন্য বাজারে পোলোর আপডেটেড ভার্সন এলেও পুরোনো ফেসলিফ্ট চলছে ভারতে। তাই ক্রেতাদের মধ্যে উৎসাহে ভাঁটা পড়েছিল। তবে বিশ্ববাজারে নতুন করে মুখ দেখানোয় এখানেও সেই মডেল দেখার আশা করছেন ক্রেতারা।
ফক্সওয়াগনের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, ১৯৭৫সালে প্রথম এই গাড়িটি লঞ্চ করে সংস্থা। যার পর থেকে পপুলার কারের তকমা পায় এই গাড়ি। কেবল জার্মানি নয়, বিশ্ব বাজারেও এর জনপ্রিয়তা রয়েছে।