Bangladesh Approves Hilsa Exportation: অবশেষে ইলিশ আসছে বাংলাদেশ থেকে, দুর্গাপুজোর জন্য সিদ্ধান্তবদল ইউনূস সরকারের
Hilsa Exportation from Bangladesh: শনিবার বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানানো হয়।
নয়াদিল্লি: আচমকা ভারতে ইলিশ রফতানি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পুজোর আগে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল বাংলাদেশ সরকার। দুর্গাপুজোর আগে ভারতে ৩০০০ টন ইলিশ রফতানির ঘোষণা করল তারা। শনিবার এই ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের তরফে। দুর্গাপুজোর কথা মাথায় রেখে, এপার বাংলার মানুষের ইলিশপ্রীতির কথা স্মরণ করেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। (Bangladesh Approves Hilsa Exportation)
শনিবার বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানানো হয়। বিবৃতি জারি করে বলা হয়, 'দুর্গাপুজোর আগে ভারতে ইলিশ রফতানিতে সায় দিয়েছে সরকার'। এর জন্য, ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রকের কাছে রফতানিকারীদের আবেদন জানাতে বলা হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বরের পর আবেদনপত্র গৃহীত হবে না। (Hilsa Exportation from Bangladesh)
বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, আগেই যাঁরা মাছ রফতানির জন্য আবেদন করেছিলেন, নতুন করে আর আবেদন জানানোর প্রয়োজন নেই তাঁদের। ৮ অক্টোবর থেকে দুর্গাপুজো শুরু হচ্ছে, সেদিন পঞ্চমী। তার আগেই ভারতের বাজারে, এপার বাংলার বাজারে রুপোলি শস্যের আগমন ঘটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে এই ঘোষণার পর।
পৃথিবীতে যত ইলিশ চাষ হয়, তার মধ্যে ৭০ শতাংশের জোগান দেয় বাংলাদেশ। পদ্মার ইলিশের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের পরিচিতিও। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরেই পদ্মার ইলিশের জোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। স্থানীয় মানুষজনের পাতেও ইলিশ ওঠা বন্ধ হওয়ার জোগাড়। এমন পরিস্থিতিতে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দেশের মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার সেই সময় জানান, "নিজের দেশের মানুষই যখন ইলিশ কিনতে পারছেন না, সেখানে অন্যত্র ইলিশ রফতানি করা সম্ভব নয়। এই বছর, বাণিজ্য মন্ত্রকে নির্দেশ দিয়েছি, দুর্গাপুজোর সময় ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ রাখার জন্য।" তবে দুর্গাপুজোর কথা ভেবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল বাংলাদেশ সরকার।
এর আগে, তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে, ২০১২ সালে ভারতে ইলিশ রফতানি নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু পরবর্তীতে ইলিশই কূটনীতে দৌত্যের মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ইলিশকে ব্যবহার করতেন শেখ হাসিনা। জুলাই মাসে বাংলাদেশ যখন অস্থির হয়ে ওঠে, সেই সময় থেকে মায়ানমারই দিল্লিতে ইলিশের জোগান দিচ্ছে। এবারও গুজরাত, ওড়িশা এবং মায়ানমার থেকে ইলিশ আমদানির কথা ভাবা হচ্ছিল। সেই আবহেই সিদ্ধান্ত বদল করল ঢাকা।