Cyclone Michaung Update: বাংলায় ৩০০, চেন্নাইয়ে ৭০০! 'পয়সাটা বেশি তাই আসি', বললেন পরিযায়ী
Migrant Workers in Chennai: চেন্নাইয়ে প্রবল বৃষ্টিতে আটকে অসংখ্য বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক। কাজ বন্ধ তাই বাড়ি ফিরে আসছেন তাঁরা
আবির দত্ত, চেন্নাই: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (cyclone michaung) ধাক্কায় বেহাল চেন্নাই (Chennai)। প্রবল বৃষ্টিতে কার্যত স্তব্ধ জনজীবন। পড়াশোনা থেকে কাজ- নানা কারণে এই শহরে থাকেন বহু বাঙালি। নানা কাজের জন্য এই শহরে আসেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক। বৃষ্টির তাণ্ডবে তাঁদের কাজ এখন বন্ধ। তাই বাড়ি ফিরছেন তাঁরা। মালদা ও বাংলার অন্য় নানা জেলা থেকে চেন্নাইয়ে এসেছেন বহু শ্রমিক। তাঁরা এখন দুর্দশায় পড়েছেন।
এবিপি আনন্দের প্রতিনিধির দেখা হয়েছে এমন একজন পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Worker) সঙ্গে। মালদার (Malda) বাসিন্দা রাজমিস্ত্রি আশরাফুল হক জানাচ্ছেন, বৃষ্টি দেখে তাঁরা বুঝতেই পারেননি এমন পরিস্থিতি হবে। বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এমনভাবে জল বেড়েছে যে আটকে পড়েছিলেন তাঁরা। কোনওমতে বাজার করে সামলেছেন। ইন্টারনেট নেই, বিদ্যুৎ সংযোগও নেই। ফলে মোবাইল বন্ধ হয়ে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছিলেন না তাঁরা। ৪ দিনের খাওয়ার মাথা পর্যন্ত জল ঠেলে আনতে যেতে হয়েছিল। ওই শ্রমিকরা জানাচ্ছেন, বৃষ্টির জন্য বন্ধ রয়েছে সব কাজ। এখানে রোজগার না থাকলে বসে খরচ বেড়ে যায়। তাই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
কিন্তু বাড়ি-ঘর ছেড়ে এতদূরে কেন আসেন তাঁরা? কারণ স্পষ্ট জানালেন শ্রমিক। রাজ্যেও রাজমিস্ত্রির হেল্পারের কাজ করতেন তিনি। কিন্তু বাংলায় যে কাজের জন্য দিনে ৩০০-৩৫০ টাকা মেলে, সেই কাজের জন্যই চেন্নাইয়ে মেলে ৭০০ টাকা। তাই কিছু বেশি রোজগার এবং কিছুটা বেশি আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য রাজ্য ছাড়তে বাধ্য হন তাঁরা। তিনি বলছেন, 'বাবা-মাকে ছেড়ে কেউ আসে? এতদূর কেউ আসে? এখানে পয়সাটা বেশি তাই আসি।' কিন্তু এখন যে ফিরছেন তারপর কাজ মিলবে? ওই শ্রমিকদের আশা বাংলায় ফিরে এ রাজ্যের প্রশাসন কিছু কাজের ব্যবস্থা করে দেবেন, তাহলে ভাল হবে তাঁদের জন্য়।
প্রায় একই অভিজ্ঞতা অন্যদেরও:
চেন্নাাইয়ে থারাইপক্কমে থাকেন হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী সৌমাভ মিত্র। ২দিন ধরে পাননি খাবার ও পানীয় জল। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরিবারের সঙ্গে। প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে শেষমেশ বৃহস্পতিবার সকালে খোঁজ মেলে সৌমাভর। শেষ পর্যন্ত, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিডিও কলে পরিবারের সদস্য়দের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী।