Israel Hamas War:ফোনে বাইডেনের 'অসন্তোষ', ত্রাণের জন্য সাময়িক ভাবে উত্তর গাজার সীমান্ত চালু করতে রাজি ইজরায়েল
Biden Netanyahu Talk:ইজরায়েল ও উত্তর গাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ 'এরেজ ক্রসিং' চালু করতে চলেছে তেল আভিভ, বিবৃতি দিয়ে জানাল সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দফতর
কলকাতা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (President Joe Biden) সঙ্গে বৃহস্পতিবার দীর্ঘ ফোনালাপ করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু (Benjamin Netanyahu)। আর আজই প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানাল, ইজরায়েল ও উত্তর গাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ 'এরেজ ক্রসিং' (Israel Approves Reopening Northern Gaza Border) চালু করতে চলেছে তারা। গত ৭ অক্টোবর, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দীর্ঘ সময় এই ক্রসিংয়ের কার্যত কোনও অস্তিত্ব ছিল না। যুদ্ধের অভিঘাতে তা ধ্বংস সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। সেই ক্রসিংই আবার চালু হতে চলেছে। ইজরায়েল আরও জানিয়েছে, গাজায় যাতে আরও বেশি করে ত্রাণসামগ্রী যায় সেই ব্যবস্থা সাময়িক ভাবে করা হবে। পাশাপাশি ওই 'স্ট্রাইক'-র জন্য দুজন অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিশদ...
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দফতর এই প্রসঙ্গে যে বিবৃতি দিয়েছে সেটি অনুযায়ী, 'মানবিক সঙ্কট এড়ানো এবং যুদ্ধ যাতে জারি থাকতে পারে, সে কথা মাথায় রেখে আশদোদ এবং এরেজ চেকপয়েন্ট দিয়ে গাজায় ত্রাণ পাঠানোয় সাময়িক ভাবে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।' মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, গত কাল বাইডেন এবং নেতানইয়াহু ফোনে প্রায় আধঘণ্টা মতো কথা বলেন। গাজায় কর্মরত 'ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনস'-র ত্রাণকর্মীদের ৭ জনের মৃত্যু নিয়ে তুমুল অসন্তোষও প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার পর, মাঝরাতেই এই বিবৃতি দেয় ইজরায়েল। আশদোদ এবং এরেজের পাশাপাশি কেরেম-শালোম সীমান্ত দিয়ে যাতে জর্ডনের পাঠানো ত্রাণ আরও বেশি করে পাঠানো যেতে পারে, সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বিবৃতিতে। তবে এই সাময়িক 'সুর নরম' করার একটি উদ্দেশ্য মানবিক সঙ্কট এড়ানো হলে অন্যটি যে যুদ্ধ জারি রাখার ব্যবস্থা করা, সেটিও মনে করানো হয় ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে।
আর যা...
সূত্রের খবর, গাজার সার্বিক পরিস্থিতি যে মোটেও 'মেনে নেওয়া যায় না', সে কথা বলে আগেই নেতানইয়াহুকে একপ্রস্ত সতর্কবার্তা দিয়েছেন বাইডেন। সঙ্গে এও জানিয়েছেন, দ্রুত কোনও পদক্ষেপ না করলে 'ফল ভোগার' জন্য তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। পরে হোয়াইট হাউসও একটি বিবৃতি দেয়। তাতে বলা হয়, 'ইজরায়েল কী পদক্ষেপ করছে, তা খতিয়ে দেখে গাজা সম্পর্কে নিজেদের নীতি স্থির করবে আমেরিকা।' নেতানইয়াহুর দফতরের তরফে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেটিকে আজ স্বাগত জানায় আমেরিকা। তবে সঙ্গে এও মনে করানো হয়েছে, যে দ্রুত যেন এই নীতি বলবৎ করার ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন:UN-এর নির্বাচন মন্তব্য হেলায় ওড়ালেন বিদেশমন্ত্রী! কী বললেন?