Mahakumbh 2025 : রেকর্ড ভেঙে চুরমার ! ৬০ কোটি ছুঁয়ে ফেলল পুণ্যার্থীর সংখ্যা, শিবরাত্রিতে বাঁধভাঙা ভিড়?
মহাকুম্ভে পুণ্যার্থীদের উপস্থিতি প্রাথমিক পূর্বাভাসকে ছাপিয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, প্রায় ৪৫ কোটি ভক্ত আসবেন দেড় মাসের কুম্ভমেলায়।

প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। একের পর এক দুর্ঘটনা, বিশেষভাবে মৌনি অমাবস্যা তিথিতে প্রয়াগরাজে ঘটে যাওয়া পদদলিত হওয়ার ঘটনায় কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে যোগী সরকার। এছাড়া কুম্ভের জলে ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়ার অস্তিস্ত নিয়েও চর্চা চলছে। তবুও এই তর্ক বিতর্কের মাঝে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগ-সঙ্গমে ভিড় করেছেন আসমুদ্র হিমাচল থেকে কোটি কোটি ভারতীয়। দাবি, ২০২৫ এর মহাকুম্ভ পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, শিবরাত্রি পর্যন্ত সংখ্যাটা আরও কয়েক কোটি বেড়ে যাবে নিঃসন্দেহে। স্থানীয় প্রশাসন মনে করছে, ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সারা ভারত থেকে আরও অনেক ভক্তই আসবেন প্রয়াগরাজে।
ইতিমধ্যেই ৫৫ কোটিরও বেশি তীর্থযাত্রী ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছেন। শনিবার সংখ্যাটা পৌঁছে গিয়েছে ৬০ কোটির কাছাকাছি। এতটাও আন্দাজ করতে পারেননি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার। কারণ কুম্ভের শুরুতে মনে করা হয়েছিল ৪৫ কোটি মানুষ স্নানের জন্য আসতে পারেন।
মহাকুম্ভে পুণ্যার্থীদের উপস্থিতি প্রাথমিক পূর্বাভাসকে ছাপিয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, প্রায় ৪৫ কোটি ভক্ত আসবেন দেড় মাসের কুম্ভমেলায়। ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে যায়। ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৫০ কোটি ছাড়িয়ে যায় পুণ্যার্থীদের সংখ্যা। " মৌনী অমাবস্যায় " একদিনে সর্বোচ্চ জনসমাগমের রেকর্ড হয়েছিল। শুধু সেদিনই প্রায় আট কোটি ভক্ত পবিত্র স্নান করেছিলেন সঙ্গমে। মহাকুম্ভ কেবল একটি বিশিষ্ট ধর্মীয় অনুষ্ঠানই নয়, এটি উত্তর প্রদেশের জন্য একটি বিশাল অর্থনৈতিক শক্তিও বয়ে আনে। মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ বলেন, এই অনুষ্ঠান উত্তরপ্রদেশের অর্থনীতিকে বিরাটভাবে চাঙ্গা করবে কুম্ভ। প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকার বেশি উপার্জন করবে সরকার।
মহাকুম্ভের শেষ স্নান ২৬ ফেব্রুয়ারি। শহরের বেশিরভাগ হোটেল ইতিমধ্যেই কানায়কানায় পূর্ণ। ২৭শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বুকিং করা আছে। আরাইলে নির্মিত তাঁবুগুলোরও প্রায় একই অবস্থা। প্রতিদিন গড়ে এক কোটিরও বেশি ভক্ত প্রয়াগরাজে পৌঁছচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে, প্রয়াগরাজের মেলা এলাকায় নির্মিত হোটেল, হোম স্টে এবং বিলাসবহুল কটেজগুলি ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সবই আগে থেকে বুকড। আইআরসিটিসি-র আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক অজিত সিনহা স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আরাইল টেন্ট সিটিতে ২৮ তারিখ পর্যন্ত বুকিং পূর্ণ। প্রয়াগরাজ হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হরজিন্দর সিং জানান, মহাকুম্ভে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি মানুষ পৌঁছেছেন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
