MEA on China: প্যাংগংয়ের চিনা অংশে নয়া সেতু! কী ভাবছে চিন? কড়া নজর ভারতের
India China Relation: সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, দ্বিতীয় ব্রিজটি তৈরির ব্যাপারে রিপোর্ট দেখা হয়েছে। বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে। চিনের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
নয়াদিল্লি: পূর্ব লাদাখে কি করছে চিন? উঠছে এমনই প্রশ্ন। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, প্যাংগং সো হ্রদের চিনা (China) অংশে দ্বিতীয় একটি সেতু তৈরি করছে চিন। যেখানে সেতুটি হচ্ছে সেটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Actual Control) থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে তারা বিষয়টির দিকে নজর রাখছে।
কী বলেছে বিদেশমন্ত্রক?
সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রকের (Ministry Of External Affairs ) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, দ্বিতীয় ব্রিজটি তৈরির ব্যাপারে রিপোর্ট দেখা হয়েছে। বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে। চিনের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
#WATCH | We have seen reports on this bridge or a second bridge... we are monitoring the situation. Of course, we always felt it was occupied...Talks on with the Chinese side: MEA spox Arindam Bagchi on reports of another bridge at Pangong Lake pic.twitter.com/h3LcE0astU
— ANI (@ANI) May 19, 2022
কী কারণে সেতু:
সূত্রের খবর, ওই সেতুটি দিয়ে ভারী সামরিক যান আনার কাজ হবে। প্যাংগং লেকের চিনা অংশে ওই সেতু দিয়ে ট্য়াঙ্ক, ভারী কামানের মতো জিনিস আনা-নেওয়া হবে। তাহলে ভারত-চিন সীমান্তের একেবারে দোরগোড়ায় ভারী সমরাস্ত্রে সজ্জিত বাহিনী পৌঁছতে পারবে চিন। ড্যামিয়েন সাইমন নামে এক বিশেষজ্ঞ যিনি দীর্ঘদিন ধরে Line of Actual Control-এ চিনের গতিবিধির দিকে নজর রাখছেন তিনি স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ করেছেন টুইটারে।
নতুন সেতুর সঙ্গে জোড়ার জন্য রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। টুইচে ছবি দিয়ে এমনটাই লিখেছেন ড্যামিয়েন সাইমন (Damien Symon)। এর আগেই একটি ব্রিজ তৈরি করেছিল চিন, দ্বিতীয় ব্রিজটি তার পাশেই হচ্ছে। তবে প্রথম সেতুটির থেকে আকারে ও বহরে তা অনেকটাই বড়। এই সেতুর ফলে চিনা ভূখন্ড থেকে LAC-এর প্যাংগং লেকে দ্রুত ও সহজে আসা যাবে। সূত্রের খবর, প্রথম সেতুটি দিয়ে যন্ত্রাংশ আনা হয়েছিল। তা দিয়ে নতুন ব্রিজটি বানানো হচ্ছে। দুইপার থেকে একসঙ্গে তৈরি হচ্ছে নতুন সেতুটি।
এর আগে সীমান্ত নিয়ে বারবার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও চিন। রক্তপাত হয়েছে। তারপর আলোচনাও চলেছে। এবার কী ফের প্যাংগং নিয়ে উত্তপ্ত হবে দুদেশের সম্পর্ক?