ISL: আইএসএলে প্রথম জয় মহমেডানের, চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে ইতিহাস সাদা-কাল ব্রিগেডের
Mohammedan SC: আইএসএলে প্রথমবার নেমে প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচেই জয় এর আগে আর চারটি ক্লাব অর্জন করেছে। এটিকে, চেন্নাইন এফসি, নর্থইস্ট ও মোহনবাগান। এ বার এদের পাশে নাম লেখাল মহমেডানও।
কলকাতা: শুরুর দিকে কোণঠাসা হয়ে গেলেও লড়াইয়ে ফিরল এবং জয়ও পেল কলকাতার মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। চেন্নাইন এফসি-র ঘরের মাঠে নেমে তাদের বিরুদ্ধে এক দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল এ বারই প্রথম আইএসএলে অংশ নেওয়া কলকাতার ক্লাব, যা তাদের ক্লাবের ইতিহাসে সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে। কারণ, ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এটিই তাদের প্রথম জয়। এই জয়ই তাদের লিগ তালিকায় পাঁচ নম্বরে তুলে দিল।
আইএসএলে প্রথমবার নেমে প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচেই জয় এর আগে আর চারটি ক্লাব অর্জন করেছে। এটিকে, চেন্নাইন এফসি, নর্থইস্ট ও মোহনবাগান। এ বার এদের পাশে নাম লেখাল মহমেডানও। এ দিন চেন্নাইনের শুরুর চাপ সামলে যে ভাবে পাল্টা আক্রমণ হেনে প্রতিপক্ষকে কাবু করে সাদা-কালো বাহিনী, তা প্রশংসার যোগ্য। এ জন্য অবশ্য চেন্নাইনের রক্ষণও যথেষ্ট দায়ী। তাদের ভুল কাজে লাগিয়েই ৩৯ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ২২ বছর বয়সি মিজো মিডফিল্ডার লালরেমসাঙ্গা ফানাই। তিনি শুধু গোলই করেননি। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের খেতাবও জিতে নেন।
এ দিন আরও একটি অবধারিত গোল পেতে পারত মহমেডান। ম্যাচের শেষে বাড়তি সময়ে পেনাল্টি পেয়েও সেই সুযোগ হাতছাড়া করেন সিজার মানজোকি। এ ছাড়াও আরও একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি মহমেডানের অ্যাটাকাররা। অসাধারণ ডিফেন্সিভ দক্ষতারও পরিচয় দেন রাশিয়ান কোচ আন্দ্রেই চেরনিশভের দলের ফুটবলাররা।
এ দিন ৮১ মিনিট পর্যন্ত একটিও শট গোলে রাখতে পারেনি চেন্নাইন। বাড়তি সময়ে তিনটি শট গোলে রাখলেও মহমেডানের দুর্ভেদ্য রক্ষণ সবকটি আটকে দেয়। সারা ম্যাচে এ দিন চেন্নাইন ৩৪ বার প্রতিপক্ষের বক্সে বল ছোঁয়, ২২টি শট নেয়। তাও একবারও জালে বল জড়াতে পারেনি। মহমেডান মোট আটটি শটের মধ্যে ছ’টিই গোলে রাখে। যার মধ্যে একটি থেকে গোল পায় তারা। চেন্নাইনের বক্সে মোট ১৩বার বল ছোঁয় তারা।
এ দিন শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় বইয়ে দেয় চেন্নাইন এফসি। ইরফান ইয়াডওয়াড, ফারুখ চৌধুরি, ড্যানিয়েল চিমা, কোনর শিল্ডসদের সামলাতে হিমশিম খেয়ে যান মহমেডানের ডিফেন্ডাররা। শুরুর দিকে শুধু তাদের গোল এরিয়াতেই বেশিরভাগ খেলা হয়, চেন্নাইনের গোলকিপার শমীক মিত্রকে তেমন কঠিন পরীক্ষার মুখে দাঁড়াতে হয়নি। ইরফান, ফারুখ , চিমারা গোলের সুযোগ পেলেও সেগুলি কাজে লাগিয়ে প্রথমার্ধে একটিও শট গোলে রাখতে পারেনি। চেন্নাইন সারা ম্যাচে ১৭টি গোলের সুযোগ তৈরি করে ও মহমেডান মাত্র চারটি। কিন্তু বাজিমাত করে কলকাতার দলই।
তথ্য সংগ্রহ: আইএসএল