Jhulan Goswami Exclusive: বিশ্বকাপে ভারতীয় দলকে চিন্তায় রাখছে নিউজিল্যান্ডের হাওয়া, কী বলছেন ঝুলন?
Team India: পাঁচ বছর আগে মহিলাদের শেষ ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ট্রফির (Womens ODI WC) দোরগোড়ায় এসেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল। লর্ডসে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে মাত্র ৯ রানে হেরে গিয়েছিল ভারত।
কলকাতা: পাঁচ বছর আগে মহিলাদের শেষ ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ট্রফির (Womens ODI WC) দোরগোড়ায় এসেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল। লর্ডসে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে মাত্র ৯ রানে হেরে গিয়েছিল ভারত। দুয়ারে কড়া নাড়ছে আরও একটি বিশ্বকাপ। এবার লড়াইয়ের মঞ্চ নিউজিল্যান্ডে। টুর্নামেন্টের আগে ভারতীয় শিবিরকে চিন্তায় রাখছে নিউজিল্যান্ডের ঝোড়ো হাওয়া।
বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞ ঝুলন গোস্বামী। (Jhulan Goswami) আপাতত কলকাতায় প্রস্তুতিতে মগ্ন ঝুলন। মহিলাদের ক্রিকেটে কিংবদন্তির ট্রফি ক্যাবিনেটে বিশ্বকাপ নেই। কেরিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ান ডে বিশ্বকাপে সেই আক্ষেপ মিটবে? এবিপি লাইভকে ঝুলন বললেন, 'বড় ম্য়াচে, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল বা ফাইনালে বলে বলে কাউকে হারানো যায় না। ওই নির্দিষ্ট দিনে যে দল ভাল খেলবে, তারাই জিতবে। এগিয়ে থাকবে। তাই ওইভাবে কী লক্ষ্য নিয়ে যাচ্ছি বলব না। বলতে পারি, ক্রিকেটটা উপভোগ করতে চাই। দল হিসাবে যাতে আনন্দের সঙ্গে ক্রিকেটটা খেলি, সেটা দেখতে হবে।'
নিউজিল্যান্ডে খেলার প্রতিকূলতা নিয়ে ঝুলন বলছেন, 'যে কোনও জায়গায় ক্রিকেট খেলো না কেন, চ্যালেঞ্জ থাকবেই। উইকেট যেমনই হোক না কেন। সিমিং উইকেট হোক বা ফ্ল্যাট পিচ বা ঘূর্ণি বাইশ গজ, বোলার হিসাবে আমার কাজ হল সঠিক জায়গায় বল করে যাওয়া। কত ধারাবাহিকভাবে এক জায়গায় বলটা ফেলে যেতে পারব, সেটাই জরুরি। নির্দিষ্ট লাইন-লেংথে বল করতে না পারলে ব্য়াটারদের হাতে মার খাবেই। নতুন বলে বল করি। আমার লক্ষ্য থাকে যাতে দলকে ভাল শুরু দিতে পারি। পিচ বা পরিবেশ যেমনই হোক না কেন, ভাল শুরু দিতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। যাতে পরে সকলে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সেটাই লক্ষ্য থাকবে।'
ঝুলন তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে বলছেন, 'নিউজিল্যান্ডে প্রবল হাওয়া দেয়। সবচেয়ে কঠিন হবে হাওয়ার বিরুদ্ধে বল করাটা। তবে বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচটা ওয়ান ডে খেলব। তাতে মানিয়ে নেওয়ার সময় পাব। যত দ্রুত মানিয়ে নিতে পারব, ততই ভাল।' যোগ করলেন, 'করোনার জন্য সব দলের প্রস্তুতিই ধাক্কা খেয়েছে। দু’বছর হতে চলল করোনা চলছে। আগাম পরিকল্পনা করা যাচ্ছে না। তার মধ্যেও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও আইসিসি যেরকম টুর্নামেন্টগুলো করে যাচ্ছে, প্রশংসনীয়। তৃতীয় ঢেউ আচমকা ধাক্কা দিয়েছে। ভোরবেলা যখন সিএবি-র জিমে কেউ থাকছে না, তখন যাই। সল্ট লেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে ট্রেনিং করি। বোলিং করি দুপুরের দিকে।'
টুর্নামেন্টের আগে নিজেকে প্রস্তুতিতে ডুবিয়ে দিতে চান ঝুলন। বলছেন, 'গত বছর বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল। কোভিডের জন্য এক বছর পিছিয়ে গিয়েছে। কিন্তু মাঠে নেমে তো আর বলতে পারব না যে প্রস্তুতি হয়নি করোনার জন্য। মাঠে সেরাটা দেব।'
আরও পড়ুন: ছেড়েছেন চিনি-রুটি-বিস্কুট, ঊনচল্লিশেও সুপারফিট, বাংলার কিংবদন্তির প্রেরণা অ্যান্ডারসন