Coal Scam: কয়লা পাচার মামলায় রাজ্য পুলিশের ১০ আধিকারিককে ভবানী ভবনে তলব সিআইডির
CID Summons: কয়লা-পাচার মামলায় এবার রাজ্য পুলিশের ১০ জন আধিকারিককে ভবানীভবনে তলব সিআইডি-র। সূত্রের খবর, পাচারে তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: কয়লা-পাচার (coal scam) মামলায় এবার রাজ্য পুলিশের (state police) ১০ জন আধিকারিককে ভবানীভবনে তলব সিআইডি-র (CID)। সূত্রের খবর, পাচারে তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আজ থেকে তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদ চলবে।
কী জানা গেল?
২০১৯ সাল থেকে ২০২১ অর্থাৎ মূলত যে সময় কয়লা পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই সময় আসানসোলের খনি অঞ্চলে যে পুলিশ আধিকারিকরা কর্মরত ছিলেন তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে তলব করেছে রাজ্য পুলিশের সিআইডি। ওসি পদমর্যাদার এক অফিসার-সহ তিন জনকে আজ তলব করা হয়েছে। তাঁরা দুপুর ১টার পর আসবেন। আগামিকাল অন্য তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে খবর। পরশু দিন তলব করা হয়েছে আরও ৪ জনকে। কয়লা পাচারে আদৌ পুলিশ আধিকারিকদের কোনও ভূমিকা ছিল কিনা, কী ভবে কয়লা পাচার হত ইত্যাদি জানতেই এই তলব। ধাপে ধাপে ১০ জন আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বাস্তবটা বুঝে নিতে চান রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা।
এখনও পর্যন্ত যা হয়েছে...
সিবিআইয়ের পাশাপাশি কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে এর মধ্যে বেশ কিছুটা এগিয়ে গিয়েছেন রাজ্য পুলিশের সিআইডি আধিকারিকরাও। অগাস্টের গোড়ায় হরিয়ানার একটি ফার্ম হাউসে অভিযান চালিয়ে সঞ্জয় মালিক নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তার পর তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে সঞ্জয় মালিককে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁকে ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আসানসোল আদালত। এর দিনকয়েক আগেই কয়লা পাচারকাণ্ডে বসিরহাটের কুখ্যাত পাচারকারী আব্দুল বারিক বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। সূত্রের খবর, আব্দুল বারিক বিশ্বাসকে জেরা করেই ব্যবসায়ী সঞ্জয় মালিকের হদিশ মেলে।
সিবিআই-তদন্তের গতিপ্রকৃতি...
গত জুলাইয়ে সুভাষ মুখোপাধ্যায় নামে ইসিএলের আরও একজন প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এই নিয়ে কয়লাকাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ৮ ইসিএল কর্তা। কয়লা মাফিয়ার থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। কয়লাকাণ্ডে (Coal Scam) আগেই গ্রেফতার ইসিএলের ৪ বর্তমান-প্রাক্তন জিএম। CBI’এর আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেছিলেন, কয়লা পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার থেকে আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন ধৃত বর্তমান ও প্রাক্তন ECL আধিকারিকরা। তবে সূত্রের খবর, শুধু অনুপ মাঝি নন, আরও অনেক কয়লা মাফিয়ার থেকেই ধৃতেরা কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন:গরু পাচারের টাকা কোথায়? জানতে সায়গল হোসেনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন ইডি-র