Coochbhear News:নাবালিকার আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল ও অত্যাচার , ২০ বছর কারাদণ্ড যুবকের
Man Gets 20 Years Jail: নাবালিকার আপত্তিকর ছবি তুলে তাকে ব্ল্যাকমেল করে ধর্ষণের ঘটনায় এক যুবককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিল মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালত।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: নাবালিকার আপত্তিকর ছবি (Objectionable Photos) তুলে তাকে ব্ল্যাকমেল করে ধর্ষণের (Assault) ঘটনায় এক যুবককে ২০ বছরের কারাদণ্ড (Jail) দিল মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালত। উত্তরবঙ্গে (North Bengal) এই প্রথম সাইবার ক্রাইমে কাউকে দোষী সাব্যস্থ করে সাজা দেওয়া হল। তা ছাড়াও চাইল্ড পর্নোগ্রাফি আইনের ৬৭(বি) ধারাতেও রাজ্যে এই প্রথম কাউকে সাজা দেওয়া হল, দাবি আইনজীবী মহলের।
কী ঘটেছিল?
আদালত সূত্রে খবর, ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর মেখলিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা। সেই মতো মামলা শুরু করে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ। ২০২২ সালের মে মাস থেকে আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। বছরখানেকের মাথায় ঘোষণা হল সাজা। পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকার সঙ্গে একটি কোচিং সেন্টারে আলাপ হয়েছিল বিজয় রায় নামে ২২ বছরের ওই যুবক। এর পর থেকেই দু'জনের মধ্যে যোগাযোগ বারতে থাকে। তদন্তে উঠে আসে, নাবালিকার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে যেত ওই যুবক। একদিন সুযোগ বুঝে,পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে নাবালিকার নগ্ন ছবি তোলে সে। সেই ছবি স্যোশাল মিডিয়ার ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করত সে। পাশাপাশি টাকাও। ক্রমে নাবালিকা, প্রাপ্তবয়স্কা হলে তাঁর পরিবারের লোকজন বিয়ের ঠিক করেন। তখনই নির্যাতিতার হবু স্বামীর কাছে তার আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে দেয় ওই যুবক। শুধু তাই নয়। তাদের বেশ কিছু বন্ধুকেও ছবিগুলি পাঠানো হয়। নির্যাতিতা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। ২০২১ সালের ১২ নভেম্বর, তিনি আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছিলেন বলে উঠে আসে। যদিও মা দেখে ফেলায় বেঁচে যান তিনি। এর পরই পরিবারের সকলের কাছে ঘটনাটি খুলে বলেন তিনি।পর দিন মেখলিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর বাবা। মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ আইপিসি ৩৮৫, ৫০৬,৫০৯, পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারা এবং তথ্য়প্রযুক্তি আইনের ৬৬ ই, ৬৭ এ, এবং ৬৭বি ধারায় মামলা করে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের ঘটনায় মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া তথ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে খবর। মামলাটিতে সরকার পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেস। উত্তরবঙ্গে এই প্রথম কাউকে সাইবার ক্রাইম আইনে সাজা দেওয়া হল। পুলিশ অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে এবং এই মামলার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ডেটাবেস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।'
আরও পড়ুন:প্রতিদিন নিয়মিত মধু সেবনে কী কী উপকার হতে পারে আমাদের স্বাস্থ্যের?