Raju Sahani : ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানের
TMC Leader's CBI Custody : চিটফান্ডের ডিরেক্টর বিভিন্ন সময়ে টাকা ধার দিয়েছেন রাজুকে, আদালতে দাবি সিবিআই-এর
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, আসানসোল : হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা রাজু সাহানির (Raju Sahani) ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতের (CBI Custody) নির্দেশ। আজ তাঁকে আসানসোল সিবিআই আদালতে পেশ করা হলে ওই নির্দেশ দেন বিচারক। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে কিছুক্ষণ আগেই শুনানি শেষ হয়েছে। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে রাজু সাহানিকে পাঁচ দিনের হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। যদিও সাতদিনের হেফাজতে চেয়েছিল সিবিআই।
কী বলছে সিবিআই ?
সিবিআইয়ের তরফে আজ আদালতে বলা হয়ে, হালিশহরে অভিযুক্তের যে রিসর্ট রয়েছে সেখানকার অফিস থেকে নগদ ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। চারটি চাবির রিং, লাইসেন্সবিহীন দেশি পিস্তল, ৪টি ডেবিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। ‘বর্ধমান সানমার্গ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন’ নামে যে চিটফান্ড সংস্থা রয়েছে সেখান থেকে সরাসরি আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন রাজু সাহানি। তাঁকে জিজ্ঞাসা করেই জানা যেতে পারে, এই চিটফান্ড সংস্থা থেকে আরও কারা কারা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। তাই তাঁকে ম্যারাথান জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন বলে দাবি করেন সিবিআইয়ের তরফের আইনজীবী।
আরও পড়ুন ; কোথা থেকে এল এত টাকা? কেনই বা বাড়িতে এত টাকা রেখেছিলেন রাজু ?
অন্যদিকে, যে কোনও শর্তে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন রাজু সাহানির আইনজীবী। যেহেতু তিনি একটি নির্দিষ্ট দল করেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলেও দাবি জানানো হয়। রাজু সাহানির আইনজীবীর দাবি, রাজু যানতেন না যে এই চিটফান্ড সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর সৌম্যদীপ ভৌমিক পলাতক রয়েছেন। তিনি রাজুর বন্ধু ছিলেন। রাজুর যেহেতু রিয়েল এস্টেটের একাধিক ব্যবসা রয়েছে, তাই সেই কাজে বছর তিনেক আগে ৩০ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা শোধও করে দিয়েছিলেন। তার রসিদও আছে। সেই রসিদ তিনি আদালত চাইলে পেশ করতে পারেন বলে জানান। সেই রসিদ সিবিআইকে দেখাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তা অ্যাকসেপ্ট করেননি।
প্রসঙ্গত, চিটফান্ডকাণ্ডে হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা রাজু সাহানিকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কিন্তু কে এই রাজু সাহানি ? ধৃতের বাবা লক্ষ্মণ সাহানি বাম আমলে হালিশহরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএমের কাউন্সিলর ছিলেন। কয়েকবছর আগে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। সেইসঙ্গে দলবদল করেন ছেলেও। গত পুরসভা নির্বাচনে হালিশহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিলেন তিনি।