Primary Recruitment Scam : প্রচুর তথ্য ডিলিট, প্রাথমিক নিয়োগে OMR-দুর্নীতি খুঁজতে অল আউট অভিযানে CBI
CBI On Primary Recruitment Scam: এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির অফিসে সাইবার বিশেষজ্ঞকে নিয়ে অভিযানে ৫ সিবিআই আধিকারিক
কলকাতা: হাইকোর্টের (HC) নির্দেশের পর প্রাথমিক নিয়োগে (Primary Recruitment Scam) OMR-দুর্নীতি খুঁজতে অল আউট অভিযানে নেমেছে সিবিআই। পরপর চার দিন এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি (CBI)।
মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতির পর শুক্রবারও তিন জন সাইবার বিশেষজ্ঞকে নিয়ে অভিযানে নেমেছেন ৫ সিবিআই আধিকারিক। ইতিমধ্যেই একাধিক সার্ভার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন প্রচুর তথ্য সার্ভার থেকে ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে দুর্নীতি তদন্তের শেষ দেখতে সেইসব তথ্যই পুনরুদ্ধার করতে চায় সিবিআই।
NET ও NEET-এর মতো এলিট পরীক্ষায় দুর্নীতি, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ঘিরে দেশজুড়ে তোলপাড়। এই আবহে এবার রাজ্যে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। OMR ও সার্ভার দুর্নীতির শেষ দেখতে এবার CBI-কে 'অল আউট' ঝাঁপানোর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। ডিজিটাল ডেটা উদ্ধার করতে দেশ-বিদেশের যেকোনও বিশেষজ্ঞ, যে কোনও সংস্থার সাহায্য নিতে পারবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আর তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকেই। এমনটাই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
কয়েক মাস আগে, OMR শিট মূল্যায়নকারী সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির প্রোগ্রামার পার্থ সেন এবং ডিরেক্টর কৌশিক মাজির বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে চার্জশিট দিয়ে সিবিআই দাবি করে, ২০১৪ সালের টেটে ১৫২ জন প্রার্থীর নাম ছিল 'WITHHELD'-এর তালিকায়। অর্থাৎ এমন প্রার্থী, যাদের নথিপত্রে কোনও সমস্য়া আছে। কিন্তু, সিবিআইয়ের চার্জশিটে দাবি করা হয়,এস বসু রায় অ্য়ান্ড কোম্পানির প্রোগ্রামার পার্থ সেন ফেল করা প্রার্থীদের নামও সেই তালিকায় ঢুকিয়ে দেন।
আরও পড়ুন, পুলিশের পিস্তল TMC কর্মীর হাতে! সেলফি তুলে নিজেই করলেন সোশাল মিডিয়ায় আপলোড
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি এবং তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে ইমেল করেন তালিকা। শুধু তালিকা নয়, কারচুপি হয়েছিল OMR শিটেও! চার্জশিটে সিবিআই দাবি করে, OMR স্ক্য়ানে ইনফ্রারেড প্রযুক্তি সম্পন্ন অত্য়াধুনিক যন্ত্র ব্য়বহার করা হয়েছিল। যেখানে OMR গুলি টেক্সট ফাইল হিসেবে স্টোর হত। যাতে তাতে রদবদল করা যায়।হাইকোর্টে OMR সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেয় CBI। যদিও সেই রিপোর্ট দেখে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তারপরই তিনি নির্দেশ দেন,OMR-এর ডিজিটাল ডেটা উদ্ধার করতে দেশ-বিদেশের যেকোনও বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিক সিবিআই। সরকারি বা IBM, WIPRO, TCS-এর মতো যেকোনও বেসরকারি তথ্য় প্রযুক্তি সংস্থার থেকে সাহায্য নেওয়া যাবে। প্রয়োজনে কোনও 'এথিক্যাল হ্যাকারে'র সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারবে CBI। আর এর জন্য় যে অর্থ খরচ হবে, তা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকেই।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।