Nabanna vs Raj Bhavan: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ রাজভবনের
Raj Bhawan Vs Nabanna : শিক্ষামন্ত্রীর অপসারণের সুপারিশ-বিতর্কের মধ্যেই পাল্টা বোসকে বার্তা রাজ্যের। তারপরই বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল রাজভবন।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : ভোটের আগে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে উঠল । বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল রাজভবন। রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ডের জবাবে রাজ্যের ৯ পাতার চিঠি দেয় রাজ্যপালকে। তাতে সিভি আনন্দ বোসকে এক্তিয়ার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। তারপরই এল রাজভবনের নির্দেশ। তদন্ত হবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে ।
সিভি আনন্দ বোসকে কড়া বার্তা রাজ্যের
বৃহস্পতিবারই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে অপসারণের সুপারিশ করা হয় রাজ্যপালের তরফে। সেই কথা কার্যত উড়িয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী। তারপরই সিভি আনন্দ বোসকে কড়া বার্তা দেয় রাজ্য। রাজ্যের অভিযোগ ছিল, 'রাজ্যের উচ্চ শিক্ষাকে ধ্বংস করছেন রাজ্যপাল, বোসের আচরণ বিধিবহির্ভূত। পড়ুয়াদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন আচার্য। ' রাজভবনের রিপোর্ট কার্ডের জবাবে এমনই কড়া জবাব দেয় রাজ্য সরকার।
নবান্নে রিপোর্ট কার্ড পাঠায় রাজভবন
কী ছিল রাজ্যপালের পাঠানো রিপোর্ট কার্ডে ? আচার্যের ভূমিকা ও রাজ্যের সীমারেখা স্মরণ করিয়ে নবান্নে রিপোর্ট কার্ড পাঠায় রাজভবন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্ত্ব শাসনে হস্তক্ষেপ করার কোনও এক্তিয়ার রাজ্য সরকারের নেই বলে মনে করিয়ে দেওয়া আচার্য তথা রাজ্যপালের তরফে। জানানো হয়, উপাচার্য নিয়োগ বা পুনর্বহালের ক্ষমতাই নেই রাজ্যের। তার জবাবেই শুক্রবার ৯ পাতার জবাব পাঠায় রাজ্য। আর তারই পাল্টা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ।
বিশ্ববিদ্য়ালয়গুলিতে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল রাজভবন। বিশ্ববিদ্য়ালয়ে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, এবং নির্বাচনী প্রচার ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাজ্য়ের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অপব্যবহার, মূলত এই তিনটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে, সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস।
ঘটনার শুরু কীভাবে
গত ৩০ মার্চ, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্য়ালয়ে তৃণমূলের অধ্য়াপক সংগঠনের সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের একাধিক নেতা, বিধায়ক, লোকসভা ভোটের প্রার্থী। সেই ঘটনায় ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে শিক্ষামন্ত্রীর অপসারণের জন্য় রাজ্য় সরকারকে বৃহস্পতিবার সুপারিশও করেন তিনি। পাল্টা শুক্রবার রিপোর্ট কার্ডের জবাব দেয় নবান্ন।
আরও পড়ুন :
'আমায় বের করো'... ঘুমন্ত পড়ুয়াকে স্কুল বাসে বন্ধ করেই বেপাত্তা ড্রাইভার ! খাস কলকাতায় ভয়াবহ ঘটনা