School Reopen: শৈশব বাঁচাতে স্কুল খোলা হোক, দাবি শুভেন্দুর; ‘শিক্ষায় সবার অধিকার থাকছে না’, সরব অধীরও
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, স্কুল বন্ধ থাকায় ছেলে-মেয়েদের , বিশেষ করে, কৃষক ও দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েদের ক্ষতি হচ্ছে। গ্রামের মেয়েরা বলছে, গাড়ি থামিয়ে স্কুল খোলার কথা বলছে। ওরা বলছে সব ভুলে গেছি।
কলকাতা: মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকের মতো বাংলাতেও স্কুল খুলে দেওয়া হোক। দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শৈশবকে বাঁচাতে অবিলম্বে স্কুল খোলা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। একই দাবিতে সরব হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। স্কুল না খোলা মানে একটা প্রজন্ম শেষ হয়ে যাওয়া। কোভিড বিধি মেনে স্কুল খোলার দাবি জানালেন অধীর চৌধুরী। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, রাজ্য সরকার স্কুল খোলার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, স্কুল বন্ধ থাকায় ছেলে-মেয়েদের , বিশেষ করে, কৃষক ও দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েদের ক্ষতি হচ্ছে। গ্রামের মেয়েরা বলছে, গাড়ি থামিয়ে স্কুল খোলার কথা বলছে। ওরা বলছে সব ভুলে গেছি। আমি বিধানসভার গেটে দাঁড়িয়ে স্কুল খোলার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছি। গ্রামের, বিশেষ করে, দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েদের কাছে ট্যাব নেই, ল্যাপটপ নেই, অনলাইনে পড়াশোনার সুযোগ নেই, টিউশনও নেই। ফলে ওদের অনেকের কাছেই পড়াশোনার সুযোগ নেই। দু বছর স্কুল বন্ধ থাকায় কার্যত সব ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, এখন অ-আ থেকে শুরু করতে হবে।
বিরোধী দলনেতা বলেছেন, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের মতো এ রাজ্যেও স্কুল খোলা হোক। যেভাবে ওই রাজ্যগুলিতে একদিন অন্তর, অল্প সংখ্যক পড়ুয়া নিয়ে স্কুল হচ্ছে, সেটা এখানেও হোক। তিনি আরও বলেছেন, একটা প্রজন্ম চাকরি না পেয়ে শেষ হয়ে গেছে। এবার স্কুলে যেতে না পেরে পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে।
অধীর চৌধুরী এই প্রসঙ্গে বলেছেন, স্কুল খোলা উচিত। স্কুল না খোলা মানে ভবিষ্যত প্রজন্মের ক্ষতি। সাধারণ পরিবারের পড়ুয়াদের বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাটা একটা বিশেষ শ্রেণীর সুবিধার বস্তু হয়ে যাচ্ছে। একটা বিশেষ শ্রেণীর কুক্ষিগত হয়ে যাচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষায় সকলের অধিকার থাকছে না। কোভিড বিধি মেনেই স্কুল খোলা হোক।
বিরোধীদের এই দাবি প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেছেন, সবাই জানেন, স্কুল না খোলা মানে পড়ুয়াদের ক্ষতি। শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হচ্ছে। সবাই চায় স্কুল খুলুক। কিন্তু বিষয়টি বিশেষজ্ঞরা ঠিক করবেন। করোনা অতিমারী দূর হয়ে যায় নি। গ্রাফ নিম্নমুখী হয়েছে। রাজ্য বিশেষজ্ঞ কমিটি পরামর্শ দিচ্ছে। তারা বললে, রাজ্য সরকার যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে।