Electric Power Cut: মাঝে মধ্যেই কারেন্ট অফ! রেগে ইলেকট্রিক অফিসের ফ্যান-লাইট বন্ধ করে তুমুল বিক্ষোভ
Power Cut Problem:বিদ্যুৎ অফিসের ভেতরেই বিক্ষোভ এলাকাবাসীর। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ অফিসের ফ্যান, লাইট। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ অফিসের কাজকর্মও।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: গরমে নাজেহাল পশ্চিম বর্ধমান। উত্তরোত্তর যেন বৃদ্ধি পেয়েছে তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহ- লু বইছে। এর মধ্যে যদি বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন পরিস্থিতি থাকে, তাহলে
সমস্যায় পড়তেই হয়। এই পরিস্থিতিতে লাগাতার বিদুৎ পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে এলাকায়, এমনটাই অভিযোগ দুর্গাপুরের বিধান নগরের বাসিন্দাদের। এই কারণকে সামনে রেখেই বিদ্যুৎ অফিসের ফ্যান লাইট বন্ধ করে জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
একে তো ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা, তারপর লাগাতার বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা। বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ অফিসের ভেতরেই বিক্ষোভ এলাকাবাসীর। দুর্গাপুরের বিধান নগরের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের অফিসের ভেতরেই জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ দুর্গাপুরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লি সহ বিধান নগরের বেশকিছু এলাকাবাসীর। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ অফিসের ফ্যান, লাইট। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ অফিসের কাজকর্মও।
এমনকী, দ্রুত বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবার হুঁশিয়ারি। ব্যাপক উত্তেজনা পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছালো পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারী বিপিন কুমার শর্মা অভিযোগ তোলেন, "কোনদিন সাময়িক বিদ্যুৎ থাকছে আবার কোনদিন ভোল্টেজই থাকছে না। চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের, শিশুদের থেকে এলাকার সমস্ত মানুষকে। এলাকায় রয়েছে একটি ট্রান্সফরমার। আর সেই ট্রান্সফরমার ওপরই চাপ দিয়ে একটি ফ্ল্যাটেও দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। আর অত্যাধিক চাপে বারে বারে পুড়ে যাচ্ছে সেই ট্রান্সফরমার। ফলে এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছে না। চূড়ান্ত দুরাবস্থার মধ্যে পড়েছেন প্রায় ১০০-র অধিক মানুষ। জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার কে বিষয়টি জানানো হলেও গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই তারা বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ অফিসে এসেছেন বিক্ষোভ দেখাতে। যতক্ষণ না পর্যন্ত পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ চালিয়ে যাবেন আন্দোলন।
আরও পড়ুন, উড়ল ছাউনি, বিদ্যুৎহীন এলাকা,কয়েক মিনিটের প্রবল ঝড়ে তছনছ সুন্দরবন-কাকদ্বীপ
বিক্ষোভকারী তারকনাথ ঘোষ জানিয়েছেন, "পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,"দ্রুত এই পরিষেবা স্বাভাবিক করা হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত এলাকায় ফ্যান চলছে, লাইট জ্বলছে ততক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যুৎ অফিসেরও ফ্যান লাইট বন্ধ থাকবে।"
অবশেষে পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে।
এদিকে, বুধবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কাকদ্বীপ, ডায়মন্ডহারবার ও জয়নগরের কিছু অংশে কালবৈশাখীর ঝড়ে কিছু লাইন breakdown হয়, নন্দীগ্রামে একটি transformer সহ পোল পড়ে যায় । সব মিলিয়ে এই চার জেলায় প্রায় ১০০টি পোল পড়ে যাওয়ার খবর এসেছে। মাননীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে সারারাত কাজ করেছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। অধিকাংশ জায়গাতেই আজ সকাল থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবা আবার চালু করা গেছে। মাননীয় মন্ত্রী প্রতি ঘন্টায় বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে