Adani Bribery Case: ঘুষকাণ্ডে আদানিদের বিরুদ্ধে তদন্ত, এবার মোদি সরকারের সাহায্য চাইল আমেরিকা
Gautam Adani: ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পেতে বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকদের আদানি গোষ্ঠী ২০০০ কোটি টাকার বেশি ঘুষ দিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

নয়াদিল্লি: ঘুষকাণ্ডে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ল ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানির। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্তে সরাসরি ভারত সরকারের সাহায্য় চাইল আমেরিকার নিয়ন্ত্রক সংস্থা US Securities and Exchange Commission (SEC). আমেরিকার আদালত গৌতম এবং তাঁর ভাইপো সাগর আদানির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। সেই নিয়ে তদন্তেই ভারত সরকারের সাহায্য় চাওয়া হল। (Adani Bribery Case)
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পেতে বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকদের আদানি গোষ্ঠী ২০০০ কোটি টাকার বেশি ঘুষ দিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। আমেরিকার বাজার থেকে তোলা টাকাতেই ঘুষ দেওয়া হয়েছিল এবং বিনিয়োগকারীদের কাছে সেই তথ্য গোপন রাখা হয়েছিল বলে জানা যায়। সেই নিয়ে আমেরিকার আদালত গৌতম, সাগর এবং তাঁদের সংস্থার আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। (Gautam Adani)
বুধবার নিউ ইয়র্ক আদালতে সেই নিয়ে ফের শুনানি চলাকালীন SEC জানায়, আদানিরা ভারতের নাগরিক। ভারতেই ব্যবসা। তাই গোটা বিষয়টিতে ভারতের আইনমন্ত্রকের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। আদানিদের সেই মর্মে নোটিস দিতে বলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে SEC. SEC-র কাউন্সেল ক্রিস্টোফার এম কলোরাডো সেই মর্মে বিবৃতিতে জানিয়েছেন, SEC অভিযুক্তদের নোটিস দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাঁরা যেহেতু ভারতের নাগরিক, সেই মতো দেশের সরকারের সহযোগিতাও চাওয়া হয়েছে, যাতে Hague Service Convention আওতায় অন্য কোনও দেশে ব্যবসা সংক্রান্ত নোটিস ধরানো যায়।
Hague Service Convention একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যার মাধ্যমে এক দেশ থেকে অন্য দেশে, ব্যবসা সংক্রান্ত আইনি নোটিস পাঠানো যায়। এটি Convention on the Service Abroad of Judicial and Extrajudicial Documents নামেও পরিচিত। সেই চুক্তির অনুচ্ছেদ ৫ (এ)-র উল্লেখ করে SEC জানিয়েছে, ভারতের আইন মন্ত্রকের কাছ থেকে আদানিদের নিয়ে তদন্তে সাহায্য় চাওয়া হয়েছে।
আমেরিকার Foreign Corrupt Preatices Act অনুযায়ী, কোনও সংস্থা বা ব্যক্তি যাঁর সঙ্গে আমেরিকার সংস্থাগুলির সংযোগ রয়েছে, তাঁরা অন্য কোনও দেশের সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ বা দামি উপহার দিয়ে বরাত হাসিল করতে পারবেন না। ঘুষ দেওয়ার প্রমাণ মিললে কোটি কোটি টাকা জরিমানা করার নিদানও রয়েছে। আমেরিকার বিচার বিভাগ পদক্ষেপও করতেও পারবে। প্রথম বার আমেরিকার মসনদে বসেই সেই আইন বাতিল করতে উদ্যত হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেবার সফল না হলেও, এবার ক্ষমতায় ফিরে ওই আইন বাতিলে সায় দিয়েছেন তিনি। আপাতত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলেও জানান। তাঁর এই নির্দেশে স্বস্তির কারণ খুঁজে পান আদানিরা। কিন্তু তদন্ত বন্ধ হয়নি, SEC-র বক্তব্যেই পরিষ্কার। এ ব্যাপারে ভারত সরকার কী করে, তা-ই এখন দেখার। কারণ কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বার বার আদানিদের আড়াল করার অভিযোগ এসেছে। এমনকি সম্প্রতি ওয়াশিংটন সফরেও আদানি-প্রশ্নে বিদ্ধ হতে হয় মোদিকে। 'ব্যক্তিগত বিষয়' বলে যদিও প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
