Rahul Gandhi:বাকি শেষ দফার ভোট, তার আগেই কোনওক্রমে 'পতন' এড়ালেন রাহুল
Election 2024:সোমবার, নির্বাচনী জনসভা উপলক্ষ্যে সেখানকার পালিগঞ্জে বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন রাহুল। হঠাতই ভেঙে পড়ল স্টেজের একাংশ।
কলকাতা: শেষ দফার ভোট এখনও বাকি। তার আগে কোনও মতে 'পতন' থেকে বাঁচলেন ওয়েনাড়ের কংগ্রেস প্রার্থী রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi Stage Collapse)। রসিকতা নয়, একেবারে আক্ষরিক অর্থেই এমন ঘটনা ঘটেছে বিহারে। সোমবার, নির্বাচনী জনসভা উপলক্ষ্যে সেখানকার পালিগঞ্জে বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন রাহুল। হঠাতই ভেঙে পড়ল স্টেজের একাংশ। ভাগ্যিস পাশে ছিলেন মিসা ভারতী। রাহুলের হাতটা ধরে ফেলেন তিনিই, কোনও মতে 'পতন' এড়ান কংগ্রেস নেতা।
বিশদ...
আরজেডি প্রেসিডেন্ট লালুপ্রসাদ যাদবের কন্যা মিসা, বিহারের পাটলিপুত্র লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর হয়ে প্রচারে এসেছিলেন রাহুল। পটনার অদূরে, পালিগঞ্জে, সেই উপলক্ষ্যেই নির্বাচনী জনসভার ব্যবস্থা করা হয়। স্টেজে রাহুলকে নিজের আসনের দিকে এগিয়ে দিচ্ছিলেন মিসা। হঠাৎ ছন্দপতন। টলোমলো করতে করতে ভেঙে গেল স্টেজের একাংশ। কোনও মতে ভার সামলানোর চেষ্টা করলেন রাহুল। শেষমেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন মিসা। তাঁর সাহায্যেই টাল সামলাতে পারেন কংগ্রেস নেতা। রাহুলের নিরাপত্তাকর্মীরা তখন উদ্বিগ্ন মুখে তাকিয়ে রয়েছেন। মুচকি হেসে তাঁদের আশ্বস্ত করেন সনিয়া-তনয়, সব ঠিক আছে।
বিহারের রাজনীতিতে অবশ্য লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগেই 'সবটা' বদলে যায়। নির্দিষ্ট করে বললে, গত জানুয়ারি মাসে 'মহাগঠবন্ধন' ছেড়ে 'এনডিএ' জোটে ফিরে গিয়ে বিহারের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে ফেলেছিলেন নীতীশ কুমার। সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোটেও যে তিনি থাকছেন না, সে কথা স্পষ্ট হয়ে যায় সেই সঙ্গে। লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগেই নতুন সরকার তৈরি হয় বিহারে। লোকসভা ভোটে এই 'নতুন' সমীকরণের কোনও ফলাফল দেখা যাবে কিনা, সেই সময় থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
রাহুলের আক্রমণ...
এদিনই, বিহারের বখতিয়ারপুরের জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানান রাহুল। বেকারত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর আক্রমণ, 'লম্বা বক্তৃতা দিয়ে দেশকে বিভাজনের চেষ্টা বন্ধ করুন মোদিজি। আগে বিহারের মানুষ, দেশের মানুষকে জানান, যুব সম্প্রদায়ের কত জনের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন।' বস্তুত, বেকারত্ব থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার, চলতি লোকসভা নির্বাচনে এগুলিই সমালোচনার মূল অস্ত্র ছিল কংগ্রেস তথা বিজেপি-বিরোধী শিবিরের। তবে তাতে যে খুব কিছু লাভ হবে না, সেটা আজও মোটামুটি বুঝিয়ে দিয়েছেন অমিত শাহ। তাঁর কটাক্ষ, আগামী ৪ জুন ফলপ্রকাশের পর কংগ্রেস নেতারা ইভিএম নয়ছয়কে দায়ী করবেন।
আরও পড়ুন:সপ্তম দফা ভোটের আগে দু'দফায় রাজ্যে প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী