Sonia Gandhi On Exit Poll: 'অপেক্ষা করুন, দেখতে পাবেন', বুথফেরত সমীক্ষা নিয়ে কেন একথা বললেন সনিয়া?
Election 2024:বুথ ফেরত সমীক্ষার উল্টো হবে লোকসভা ভোটের ফল, আশাবাদী সনিয়া গাঁধী । সংবাদসংস্থাকে তিনি বলেন, 'একটু অপেক্ষা করুন, দেখতে পাবেন।'
নয়াদিল্লি: বুথ ফেরত সমীক্ষার উল্টো হবে লোকসভা ভোটের ফল, আশাবাদী সনিয়া গাঁধী (Sonia Gandhi On Exit Poll 2024)। সংবাদসংস্থাকে তিনি বলেন, 'একটু অপেক্ষা করুন, দেখতে পাবেন।' যদিও বেশিরভাগ বুথফেরত সমীক্ষায় গেরুয়া-ঝড়ের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। কোনও কোনও সমীক্ষায় আবার এনডিএ-র জন্য ৪০০-র বেশি আসনে জয়ের পূর্বাভাস রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৩৫০-র বেশি আসনে জয়ের পূর্বাভাস রয়েছে এনডিএ-র জন্য। আসন সংখ্যা নিয়ে নানা মত থাকলেও নরেন্দ্র মোদির বিজেপি যে ফের ক্ষমতায় ফিরছে, সেই ইঙ্গিত মোটামুটি সব সমীক্ষাই দিয়েছে। তবে কংগ্রেস নেত্রীর বিশ্বাস, লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশ হলে বোঝা যাবে, বুথফেরত সমীক্ষা মেলেনি।
বিশদ...
গত দেড় মাস ধরে, সাত দফায় ভোট হয়েছে দেশে। ভোট শুরু হয় গত ১৯ এপ্রিল, শেষ হয় ১ জুন। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে ২৭২ আসনে জয় জরুরি। বেশিরভাগ বুথফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস, ৩৫০-র বেশি আসনে জিতে তৃতীয় বার ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। কোনও কোনও সমীক্ষায় আবার ইঙ্গিত, এই সংখ্যা ৪০০-ও পেরিয়ে যেতে পারে। শেষমেশ কী হবে, সেটি অবশ্য রাত পোহালেই বোঝা যাবে। তবে কংগ্রেস এবং বিজেপি-বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোটের দলগুলি এই সমীক্ষার পূর্বাভাস সম্পূর্ণভাবে 'কাল্পনিক' বলে উড়িয়ে দিয়েছে। গত কাল, অর্থাৎ রবিবার, ওয়েনাড়ের কংগ্রেস প্রার্থী রাহুল গাঁধী আবার কটাক্ষ করে 'মোদি মিডিয়া পোল' বলে সমীক্ষাগুলিকে কটাক্ষ করেন। সঙ্গে পূর্বাভাস, 'ইন্ডিয়া' জোট ২৯৫ আসনে জিতে সরকার গঠন করবে।
পশ্চিমবঙ্গ...
এবারের ভোটযুদ্ধে বাংলার মানুষ কার দিকে আস্থা রাখছেন, সে ব্য়াপারে কড়া নজর থাকবে জাতীয় শিবিরের। বুথফেরত সমীক্ষাগুলির সার্বিক যা ইঙ্গিত, তাতে এই রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের বেশিরভাগ বিজেপি জিততে পারে। তার পরে থাকবে তৃণমূল। কংগ্রেস-সিপিএমের জন্য সর্বোচ্চ ১-৩টি আসনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সাত দফা ভোটের প্রচারে মোদি-শাহের মতো বিজেপির সর্বোচ্চ নেতারা যে ভাবে বঙ্গ-সফর করেছেন, যে ভাবে দুর্নীতি থেকে তোলাবাজির মতো একের পর এক অস্ত্রে তৃণমূলকে বিদ্ধ করেছেন, সন্দেশখালির মতো ঘটনা নিয়ে তুমুল আলোড়ন ফেলার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী-সুকান্ত মজুমদারের মতো রাজ্য স্তরের নেতারা, ভোটবাক্সে তার কোনও প্রভাব পড়বে কিনা, সেটা বোঝা যাবে আগামীকাল। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগ থেকে বাংলার বিরুদ্ধে 'বঞ্চনা', এই নিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক তূণীরে তির সাজিয়েছিল তৃণমূলও। শেষমেশ কার পাল্লা ভারী হল, তা জানতে রাত কাটার অপেক্ষা।
আরও পড়ুন:দিল্লি যাবে কার দখলে? এই বঙ্গের ৪২-এ পাল্লাভারী হবে কার? ভোটের সম্পূর্ণ ফল এই লিঙ্কে