Bappi Lahiri: সাধের কলকাতাতেই ভাসানো হবে বাপি লাহিড়ির অস্থি, আসছেন স্ত্রী-পুত্র
Bappi Lahiri: ১৯৫২-র ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম বাপি লাহিড়ির। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু’জনেই ছিলেন গানের জগতের মানুষ। কিশোর কুমারের আত্মীয় বাপি ছোট থেকে বড় হয়েছেন সঙ্গীতের পরিবেশে।
কলকাতা: গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে আসে সেই দুঃসংবাদ। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বাপি লাহিড়ি। তার আগের দিন মধ্যরাতে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে মৃত্যু হয় তাঁর। ভেঙে পড়ে সঙ্গীতপ্রেমী অংখ্য অনুরাগী থেকে শুরু করে গোটা সিনে দুনিয়া।
আগামীকাল প্রয়াত শিল্পীর অস্থি বিসর্জন করতে কলকাতা এসে পৌঁছবেন তাঁর স্ত্রী ও পুত্র বাপ্পা লাহিড়ি। সঙ্গে থাকবেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বাপি লাহিড়ির বাড়ির সদস্যদের কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছনোর কথা। সূত্রের খবর, বিমানবন্দরে তাঁদের জন্য উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী সুজিত বসু। জানা গেছে, বিমানবন্দর থেকে তাঁরা সোজা আউটরাম ঘাটে যাবেন। সেখানেই প্রয়াত শিল্পীর অস্থি বিসর্জন দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Sabyasachi-Aindrila Update: 'এভাবেই ফিরে আসা যায়', ঐন্দ্রিলাকে খোলা চিঠি সব্যসাচীর
১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম বাপি লাহিড়ির। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু’জনেই ছিলেন গানের জগতের মানুষ। কিশোর কুমারের আত্মীয় বাপি ছোট থেকে বড় হয়েছেন সঙ্গীতের পরিবেশে। ৩ বছর বয়সে তবলা বাজানো দিয়ে শুরু। ১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে অন্যতম জনপ্রিয় নাম বাপি লাহিড়ি। ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’-তে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন একাধিক গান। ২০২০ সালে তাঁর শেষ গান ‘বাঘি থ্রি’-র জন্য। গত বছর এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাপি লাহিড়ি। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
শ্রোতাদের একের পর এক সুপারহিট গান উপহার দিয়েছেন ভারতীয় সঙ্গীতের ডিস্কো কিং। ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘ডান্স ডান্স’, ‘হিম্মতওয়ালা’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, ‘সত্যমেব জয়তে’, ‘কম্যান্ডো’, ‘শোলা অউর শবনম’-এর মতো ছবিতে সুর দিয়েছেন। বাংলায় ‘অমর সঙ্গী’, ‘আশা ও ভালবাসা’, ‘আমার তুমি’, ‘অমর প্রেম’-সহ একাধিক ছবিতে সুর দিয়েছেন।
সোনার গয়না পরার ঝোঁক ছিল বাপি লাহিড়ির। গানের পাশাপাশি রাজনীতিতেও উৎসাহী ছিলেন। ২০১৪ সালে শ্রীরামপুর লোকসভায় বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান।