Buddhadeb Dasgupta Demise: 'বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের নামটুকুই যথেষ্ট ছিল মানুষকে আপ্লুত করার জন্য'
বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের ছবিতে সুযোগ পাওয়াকে এখনও নিজের 'সৌভাগ্য' বলেই উল্লেখ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে প্রিয় পরিচালকের প্রয়াণের খবর মন খারাপ করিয়েছে 'আমি ইয়াসিন আর মধুবালা' -এর দিলীপ ওরফে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। বললেন, 'কেবল বাংলা সিনেমা নয়, গোটা ভারতবর্ষের সিনেমা জগতেই উজ্জ্বল নাম ছিলেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। ওনার সঙ্গে পর পর দুটো ছবিতে কাজ আমার কাছে আশীর্বাদের মত ছিল। ‘স্বপ্নের দিন’ এবং 'আমি ইয়াসিন আর মধুবালা' ছবির অভিজ্ঞতা সারা জীবন মনে থাকবে।'
কলকাতা: বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের ছবিতে সুযোগ পাওয়াকে এখনও নিজের 'সৌভাগ্য' বলেই উল্লেখ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে প্রিয় পরিচালকের প্রয়াণের খবর মন খারাপ করিয়েছে 'আমি ইয়াসিন আর মধুবালা' -এর দিলীপ ওরফে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। বললেন, 'কেবল বাংলা সিনেমা নয়, গোটা ভারতবর্ষের সিনেমা জগতেই উজ্জ্বল নাম ছিলেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। ওনার সঙ্গে পর পর দুটো ছবিতে কাজ আমার কাছে আশীর্বাদের মত ছিল। ‘স্বপ্নের দিন’ এবং 'আমি ইয়াসিন আর মধুবালা' ছবির অভিজ্ঞতা সারা জীবন মনে থাকবে।'
আজ সকালেে দক্ষিণ কলকাতায় নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কিডনির সমস্যা থাকায় গত কয়েকদিন ধরে ডায়ালিসিস চলছিল।
অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল। তবে উৎসাহ ছিল ফিল্ম সংক্রান্ত পড়াশোনাতেও। ১৯৬৮ সালে তথ্যচিত্র তৈরি করে পরিচালনায় হাতেখড়ি বুদ্ধদেবের। ১৯৭৮-এ প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি দূরত্ব পরিচালনা করে জাতীয় পুরস্কারের শিরোপা পান। এরপর নিম অন্নপূর্ণা, গৃহযুদ্ধ, বাঘ বাহাদুর, তাহাদের কথা, চরাচর, মন্দ মেয়ের উপাখ্যান-সহ একের পর এক উল্লেখযোগ্য ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন দর্শককে। পুরস্কারের ঝুলিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি জাতীয় পুরস্কার। এছাড়াও চলচ্চিত্র পরিচালনায় বিদেশি পুরস্কারও পেয়েছেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত।
বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত পরিচালিত ‘স্বপ্নের দিন’ এবং 'আমি ইয়াসিন আর মধুবালা' ছবিতে অভিনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। কেবল ছবি নয়, পর্দার পিছনেও বুদ্ধদেবের সাহচর্য্য পেয়েছেন প্রসেনজিৎ। অভিনেতা বলছেন, ' এই সময় দাঁড়িয়ে একজন মাষ্টার চলে গেলেন। বুদ্ধদা চলে গেলেন। ওনার সঙ্গে পর পর দুটো ছবিতে কাজ আমার কাছে আশীর্বাদের মত ছিল। বুদ্ধদা যে ধারার ছবিতে বিশ্বাস করতেন, সেটা একেবারে আলাদা কিন্তু গোটা বিশ্বে সমাদৃত। ওনার সঙ্গে বেশ কয়েকটি বড় চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছিলাম আমি। দেখেছিলাম, ভদ্রলোকের নামে মানুষ আপ্লুত হয়ে যান। ওনাকে দেখারও প্রয়োজন পড়ে না। ওনার নামটাই যথেষ্ট ছিল। সেই জায়গাটা উনি তৈরি করেছিলেন। আমার এটা ভেবে খুব গর্ব হয়, উনি বাঙালি। ছোটবেলা থেকে অনেক ছবি দেখেছি ওনার। আর পর্দার বাইরেও ওনার সান্নিধ্য পেয়েছি বহুবার। মানুষ হিসাবেও বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত ভীষণ ভালো ছিলেন। সবাই কেমন যেন হারিয়ে যাচ্ছে। উনি যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন।'