Rituparna Sengupta: কাঞ্চন কন্যাকে দেখতে বাড়িতে হাজির ঋতুপর্ণা, শ্রীময়ী বলছেন, 'কৃষভি যখন বুঝবে...'
Kanchan Mallick-Sreemoyee Chottoraj: কাঞ্চন আর শ্রীময়ী কন্যা কৃষভিকে দেখতে তাঁদের বাড়িতে এলেন ঋতুপর্ণা। আর অভিনেত্রীর জন্য আবেগে আপ্লুত হয়ে কলম ধরলেন শ্রীময়ী

কলকাতা: এই প্রথম নয়, এর আগেও একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল দুই অভিনেত্রীকে। কখনও একসঙ্গে কাজ না করলেও, ব্যক্তিগত জীবনে তাঁরা দুজনেই খুব ঘনিষ্ঠ। আর এবার, এক অভিনেত্রীর একরত্তি কন্যাকে দেখতে তাঁর বাড়ি পৌঁছলেন আরেক অভিনেত্রী। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta) ও শ্রীময়ী চট্টরাজ (Sreemoyee Chottoraj)। একসঙ্গে কাজ করেছেন কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mallick)। আর এবার, কাঞ্চন আর শ্রীময়ী কন্যা কৃষভিকে দেখতে তাঁদের বাড়িতে এলেন ঋতুপর্ণা। আর অভিনেত্রীর জন্য আবেগে আপ্লুত হয়ে কলম ধরলেন শ্রীময়ী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীময়ী লিখেছেন, 'ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে এর আগেও আমি লিখেছি, শুধু লেখার জন্য লিখিনি। মন থেকে যা উপলব্ধি করেছি সেটাই ব্যক্ত করেছি। কারণ আমরা তো এখন মানুষের ভালো জিনিস, মানুষের ভাল গুণ ,মানুষের ভাল কাজ নিয়ে কথা বলতে ভুলে গিয়েছি। কিভাবে লোকের খুঁত বের করা যায়,ছোট করা যায় কিভাবে লোকের সাথে অসভ্য আচরণ করা যায়, এটাই আমাদের বেশি লক্ষ্য। অথচ সবাই সেটা করে না। আসলে যাদের কোন কাজ নেই তারাই এটা করেন।
প্রসঙ্গে আসি ঋতুদি... ঋতুদির সাথে আমি একজন নবাগত অভিনেত্রী হিসেবে, দিদির মত করে যতই আড্ডা মারি। আড্ডা যেন কম পড়ছে... তার শিক্ষা, তার সহবত, তার জীবন দর্শন, তার অভিজ্ঞতাকে আমি কুর্ণিশ জানাই। গতকাল যখন ঋতুদি এল আমাদের বাড়িতে,আমি খুব খুব খুব আনন্দিত হয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের কাছে আরও বেশি উপরি পাওনা হলো ঋতুদির ছেলে। কারণ আমি তো এই প্রজন্মের... আর ঋতুদির ছেলে আমার ভাতৃসম! আমি ওকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম যে ছেলেটির বড় হওয়া,পড়াশোনা ,সংস্কৃতি সবটাই বিদেশ থেকে... এখন এসেছে মায়ের কাছে দেশে। তুমি চাও বা না চাও ,তুমি অস্বীকার করতে পারবে না যে ও একজন স্টারকিড।
শুধুমাত্র একজন তারকা সন্তান সে নয়, একজন সুপারস্টার ব্লকবাস্টার, যার ঝুলিতে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড আছে, এরকম একজন অভিনেত্রীর সন্তান। এখানে তার ব্যবহার, তার কথাবার্তা, তার রসবোধ এত ভাল! সর্বোপরি মা ও ছেলের সাথে কী মিষ্টি সম্পর্ক হতে পারে, সেটা নিজের চোখে না দেখলে আমরা বিশ্বাসই করতাম না! এই জন্যই কথায় আছে, গাছ যদি ভাল হয় ফল ভালো হতে বাধ্য। সেটাই প্রমাণ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং তার সন্তান।
আমরা যতই বড় বড় কথা বলি, কিন্তু শিক্ষা,পড়াশোনার গুরুত্ব রয়েছে করে ভালো মানসিকতার মানুষ তৈরি হতে। শুধু আমি নই আমার মা,বাবা তারা তো কখনো ভাবেননি যে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে এত কাছ থেকে দেখবেন। দেখার পর তাদের যা উপলব্ধি হল তারাও এখনো আপ্লুত। আড্ডাটা গতকাল রাত তিনটেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এখনও শুধুই তাদেরকে নিয়ে গল্প হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছে আমার ছোট্ট কৃষভি ঋতুদির কোলে উঠে। তার জীবনের এই ছবিটা স্মৃতি হয়ে থাকবে। ও যখন বড় হবে, বুঝতে শিখবে, ছবিটা দেখে খুব আনন্দ পাবে। আমি চাই ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মত অভিনেত্রী আরো অনেক অনেক অনেক সিনেমা আমাদেরকে উপহার দিক, জানি না অনেকে জানেন কিনা ঋতু দি অসাধারণ লেখেন। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত একজন আদর্শ। একজন মেয়ে, একজন স্ত্রী, একজন মেয়ে, একজন মা, একজন সুপারস্টার একজন সামাজিক কর্মী, একজন লেখিকা, একজন প্রযোজক, আরও কত কি.. তোমায় খুব ভালবাসি ঋতুদি।'
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
